পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮৪

鲁亨博 8ኳ” আমি সন্মত হইলাম, রাজলক্ষ্মী নিজেও একটু হাসিয়া সানাইয়ের' শব্দটা আন্দাজ করিয়া বলিল, ওই বুঝি তোমার বাড়ী, মধু ? আচ্ছা, যদি সময় পাই তা আমিও গিয়ে একবার দেখে আসিব । রতনের প্রতি চাহিয়া কহিল, বড় তোরঙ্গটা খুলে দেখতে রে, আমার নতুন শাড়ীগুলো DBDB DBD BD S BSBDB BDDB BDBD DDD S SYD DBB এ দেশে কিছু পাওয়া যায় না ? বাতাসা মেলে ? আচ্ছা, তাই বেশ ! অমনি তাও কিছু কিনে নিয়ে আসিস রতন । হা মধু, তোমার মেয়েব বয়স কত ? পাত্তরের বাড়ী কোথায় ? লোক কতগুলি খাবে ? এ গ’য়ে ক’ঘর তোমরা আছ ? জমিদারগৃহিণীর একসঙ্গে এতগুলি প্রশ্নের উত্তরে মধু সসন্ত্রমে এবং সবিনয়ে যাহা কহিল তাহাতে বুঝা গেল তাহার কন্যার বয়স বছরনয়েকের মধ্যেই, পাত্র যুবা পুরুষ-ত্রিশ-চল্লিশের বেশি হইবে না-বাড়ী ক্রোশ-পাঁচেক উত্তবে কি একটা গ্রামে - সে একটা তাহদের বড় সমাজ, সেখানে জাতীয় ব্যবসা কেহ করে না-সকলেরই চাষ-বাস পেশা-মেয়ে বেশ সুখেই থাকিবে, তবে ভয় শুধু এই রাত্রিটার জন্য ! কারণ, ববযাত্রীর সংখ্যা কত হইবে, এবং তাহারা কোথায় কি ফ্যাসাদ বাধাইয়া দিবে, তাহা আজ প্ৰভাত না হওয়া পৰ্যন্ত কোনমতেই অনুমান করিবার যো” নাই। তাহারা সকলেই সমৃদ্ধ ব্যক্তি, কি করিয়া যে মান-মৰ্য্যাদা বজায় রাখিয়া শুভ-কৰ্ম্ম সম্পন্ন হইবে এই ভয়েই মধু কঁাটা হইয়া আছে। এই-- সকল সবিস্তারে নিবেদন করিয়া সে পরিশেষে সকাতরে জানাইল যে, তাহার চিড়া, গুড় এবং দধি সংগ্ৰহ হইয়াছে, এমন কি শেষকালে খানদুই করিয়া বড়-বাতাসাও পাতে দিতে পরিবে ; কিন্তু তথাপি যদি কোন গোলযোগ হয় তা তাহদের রক্ষা করিতে হইবে । রাজলক্ষ্মী সকৌতুক ভরসা দিয়া কহিল, গোলযোগ কিছু হবে না। মধু, তোমার মেয়ের বিয়ে নির্বিবয়ে হবে। আমি আশীৰ্ব্বাদ করছি। খাবার জিনিস এত জোগাড় করেছ তোমার বেয়াইয়ের দল খেয়ে খুলী হয়ে বাড়ী যাবে । মধু ভূমিষ্ঠ প্ৰণাম করিয়া সঙ্গেয় লোক দুইটিকে লইয়া প্ৰস্থান করিল ;