পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Arşiv

  • কিন্তু তাহার মুখ দেখিয়া মনে হইল, এই আশীৰ্ব্বাচনের উপর বরাত দিয়া সে বিশেষ কোন সান্তস্থান লাভ করিল না ; আজ রাত্রির জন্য কন্যার পিতার মনের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ জাগিয়া রহিল।

শুভকৰ্ম্মে পায়ের ধূলা দিব বলিয়া মধুকে আশা দিয়াছিলাম, কিন্তু সত্য-সত্যই যাইতে হইবে এরূপ সম্ভাবনা বোধ করি আমাদের কাহারও মনে ছিল না । সন্ধ্যার কিছু পরে প্রদীপের সম্মুখে ৰসিয়া রাজলক্ষ্মী তাহার আয়-ব্যয়ের একটা খসড়া পড়িয়া শুনাইতেছিল, আমি বিছানায় শুইয়া মুদ্রিত নেত্ৰে কতক বা শুনিতেছিলাম, কতক বা শুনিতেছিলাম। না, কিন্তু অদূরে বিবাহ-বাটীর কলরোল কিছুক্ষণ হইতে যেন কিঞ্চিৎ অসাধারণ রকমের প্রখর হইয়া কানে বাজিতেছিল । সহসা রাজলক্ষ্মী মুখ তুলিয়া সহস্যে কহিল, ডোমের বাড়ীর বিয়ে, মারামারি এর একটা অঙ্গ নয় তা ? 鸣 বলিলাম, উচু জাতের নকল যদি ক’রে থাকে ত বিচিত্র নয়। সেসব কথা তোমার মনে আছে তা ? রাজলক্ষ্মী কহিল, হু । তারপর ক্ষণকাল কান খাড়া করিয়া থাকিয়া একটা নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, বাস্তবিক, এ পোড়া দেশে যা ক’রে আমরা মেয়েদের বিলিয়ে দিই, তাতে ইতার-ভদ্র সবাই সমান। ওরা চলে গেলে আমি খোজ নিয়ে শুনলুম কাল সকালে ঐ ন'বছরের মেয়েটাকে কোন অপরিচিত সংসারে টেনে নিয়ে যাবে, আর কখনও হয়ত আসতে পৰ্যন্ত দেবে না । এদের নিয়মই এই । বাপ ছ’গণ্ডা টাকায় মেয়েটাকে আজ বিক্রি করে দেবে। “একবার পাঠিয়ে দাও" এ কথা মুখে আনবারও যো থাকবে না । আহা ! মেয়েট সেখানে কতই না কঁদবে-বিয়ের সে কি জানে বল ? এসকল দুর্ঘটনা ত জন্মকাল হইতেই দেখিয়া আসিতেছি, একরকম সহিয়াও গিয়াছে, আর ক্ষোভ প্ৰকাশ করিতে প্ৰবৃত্তি হয় না। সুতরাং थङ्गाखान cकदन cभौन श्चाई ब्रश्लिांभ। জবাব না পাইয়া সে কহিল, আমাদের দেশে ছোট-বড় সব জাতের মধ্যেই বিয়েটা কেবল বিয়েই নয়, এটা ধৰ্ম্ম, তাই যা, নইলে