পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

沙@ चैकाख আমরা ছাড়া আর কেহ ছিল না। সে সুমুখে আঙ্গুল বাড়াইয়া কহিল, তোমার ছায় পড়ে নি কেন বল ত ? চাহিয়া দেখিলাম। অদূরে ডান দিকে আমাদের অস্পষ্ট ছায়া এক হইয়া মিলিয়াছে, কহিলাম, বস্তু থাকলে ছায়া পড়ে - বোধ হয় ওটা আর নেই। उांश छिल ? লক্ষ্য ক’রে দেখিনি, ঠিক মনে পড়ছে না। বাজলক্ষ্মী হাসিয়া বলিল, আমার পড়ছে-ছিল না। এতটুকু বয়স থেকে ওটা দেখতে শিখেছিলাম। এই বলিয়া সে একটা পরিতৃপ্তির নিশ্বাস ফেলিয়া কহিল, আজকের দিনটা আমার বড় ভাল লেগেছে। মনে হচ্ছে এতদিন পবে একটি সঙ্গী পেলাম । এই বলিয়া সে আমার প্রতি চাহিল। আমি কিছু কহিলাম না, কিন্তু মনে মনে নিশ্চয় বুঝিলাম, সে ঠিক সত্যকথাটাই কহিয়াছে । বাটী আসিয়া পৌছিলাম, কিন্তু ধূলা-পা ধুইবার অবকাশ মিলিল না, শান্তি ও তৃপ্তি দুই-ই একই সঙ্গে অন্তহিত হইল। দেখি বাহিবের উঠান ভরিয়া, জন-দশ-পনের লোক বসিয়া আছে। আমাদের দেখিয়া সসন্ত্রমে উঠিয়া দাড়াইল। রতন বোধ হয় এতক্ষণ বক্ততা করিতেছিল, তাহার মুখ উত্তেজনা ও নিগুঢ় আনন্দে চক চক্‌ করিতেছে ; কাছে আসিয়া কহিল, মা, বার বার যা বলেছি ঠিক তাই হয়েছে। বাজলক্ষ্মী অধিবভাবে কহিল, কি বলেছিলি আমার মনে নেই, আর একবার বল। রতন কহিল নিবনেকে পুলিশের লোক হাতকড়ি দিয়ে পিছমোড়া ক’রে বেঁধে নিয়ে গেছে। বেঁধে নিয়ে গেছে। কখন ? কি করেছিল। সে ? মালতীকে সে একেবারে খুন ক’রে ফেলেছে। বলিস কি রে! তাহার মুখ একেবারে শাদা হইয়া গেল। কিন্তু কথা শেষ না হইতেই অনেকে একসঙ্গে বলিয়া উঠিল, না না, মােঠাকরুণ, একেবারে খুন করেনি। খুব মেরেছে বটে, কিন্তু মেরে ফেলেনি।