পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se चैकाख 8 ( করিয়া বলা সে কেন; বোধ হয় আমারও সাহস হইত না । কহিলাম, ব্যাপার কি রতন ? বতন কহিল, ব্যাপার যা বরাবর জানি-তাই । কহিলাম, কিন্তু আমি যখন এখনও জানি নে, তখন একটু খুলেই বল । বর্তন খুলিয়াই বলিল । সমস্ত শুনিয়াই মনের মধ্যে যে কি হইল বলা কঠিন। কেবল মনে আছে ইহার নিষ্ঠুর কদৰ্য্যতা ও অপরিসীম বীভৎসতার ভারে সমস্ত চিত্ত একেবারে তিক্ত বিবশি হইয়া গেল । কি * করিয়া যে কি হইল, রতন সবিস্তারে ইহার ইতিবৃত্ত এখনও সংগ্ৰহ করিয়া উঠিতে পাবে নাই ; কিন্তু যেটুকু সত্য সে ছাকিয়া বাহির করিয়াছে, তাহা এই ষে নবীন মোড়ল সম্প্রতি জেল খাটিতেছে এবং মালতী তাহার ভগিনাপতির সেই বড়লোক ছোটভাইকে স্যাঙা করিয়া উভয়ে তাহার পিতৃগৃহে বাস করিতে গঙ্গামাটিতে কাল ফিরিয়া আসিয়াছে। মালতীকে একপ্রকার স্বচক্ষে না দেখিলে বোধ করি বিশ্বাস করাই কঠিন হইত। যে রাজলক্ষ্মীব টাকাগুলির যথার্থই এইভাবে সদগতি হইয়াছে। সেই রাত্রে আমাকে খাওয়াইতে বসিয়া রাজলক্ষ্মী এ সংবাদ শুনিল । শুনিয়া কেবল আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিল, বলিস কি রতন, সত্যি নাকি ? ছুডিট সেদিন আচ্ছা তামাসা করলে তা ! টাকাগুলো গেল-আবেলায় আমাকে নাইয়ে মারলে ! ও কি, তোমার খাওয়া হয়ে গেল নাকি ! তার চেয়ে খেতে না বসলেই তা হয় ? এসকল প্রশ্নের উত্তর দিবার কোনদিনই আমি বুথ চেষ্টা করি না আজও চুপ করিয়া রহিলাম। তবে একটা বস্তু উপলব্ধি করিলাম। আজ নানা কারণে আমার একেবারে ক্ষুধা ছিল না, প্ৰায় কিছুই খাই নাই তাই আজ সেটা তাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে ; কিন্তু কিছুকাল হইতে যে আমার খাওয়া ধীরে ধীরে কমিয়া আসিতেছিল, সে তাহার চোখে পড়ে নাই। ইতিপূবেৰ্ব এ বিষয়ে তাহার নজর এত তীক্ষ ছিল যে ইহার লেশমাত্ৰ কম-বেশি লইয়া তাহার আশঙ্কা ও অভিযোগের অবধি থাকিত না-কিন্তু আজ যে কারণেই হোক একজনের সেই খেন-দুটি Aviv