পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩৯

S শ্ৰীকান্ত বাতাসের ত বাধা নাই, কে বলিবে সমুদ্র পার করিয়া অভয়ার স্পর্শটুকু সে আমার কাছে বহিয়া আনিতেছি না ! অভয়াকে মনে পড়িলে সহজে SDB DBBD BD DuDDS BBBS0 tTD DDSS SBDDB qODB BBBD গিয়াছেন, আব্ব তাহাদেব ছোট্ট বাসাবাড়ীব সদর দরজা বন্ধ করিয়া দিয়া ঘবেব মেঝেতে বসিয়া অভয়া তাহার সেলাই লইয়া পড়িয়াছে। দিনের বেলায় আমাবি মত সে ঘুমাইতে পারে না, এতদিনে-হয়ত কোন ছোট্ট শিশুব কঁথা, কিম্বা তেমন ছোট্ট বালিশেব ওড়, কিম্বা এমনি কিছু তাহার ক্ষুদ্র গুচিস্থালীব ক্ষুদ্র গৃহিণীপনা ! বকোব মাঝখানে গিয়া যেন তীবেব মত বিঁধে । যুগ-যুগান্তরের সঞ্চিত সংস্কাব, যুগ-যুগান্তবোৰ ভাল-মন্দ বিচাবেব অভিমান আমাবও ত বক্তেব মধ্যে প্ৰবৰ্তমান । কেমন কবিয়া অকপটে তাহাকে দীর্ঘাযুঃ হও বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ কবি । কিন্তু মন যে সরমে সঙ্কোচে একেবারে ছোট হইয়া আসিতে চায ! কৰ্ম্ম নিবত অভয়ার শান্ত প্ৰসন্ন মুখচ্ছবি আমি মনশ্চক্ষে দেখিতে পাই । তাহাব পাশে নিষ্কলঙ্ক ঘুমন্ত বালক । যেন সদ্য-ফোটা পদ্মের মত শোভায় সম্পদে গন্ধে মধুতে টলষ্টল কবিতেছে । এতখানি অমৃত বস্তুর জগতে কি সত্যই প্রয়োজন ছিল না ! মানবসমাজে মানব-শিশুর মৰ্য্যাদা নাই, নিমন্ত্রণ নাই, স্থান নাই বলিয়া ইহাকেই ঘূণাভাবে দূৰ করিয়া দিতে হই1ে ? কল ।াণেব ধনকেই চিব অকল্যাণের মধ্যে নির্বাসিত করিয়া দিবাব অপেক্ষা মানব-হৃদয়েব বৃহত্তব ধৰ্ম্ম আব নাই ? অভয়াকে আমি চিনি । এইটুকুকে পাইতে সে যে তাহার জীবনের কতখানি দিয়াছে তাহা আর কেহ না জানে, আমি তা জানি । হৃদয়হীন বকববিতায় কেবলমাত্র অশ্রদ্ধা ও উপহাসের দ্বাবাই সংসারে সকল প্রশ্নের জবাব হয় না । ভোগ ! অত্যন্ত মোটা রকমের লজ্জাকর দেহের ভোগ । তাই বটে । অভয়াকে ধিক্কার দিবার কথাই বটে । বাহিরেব তপ্ত বাতাসে চোখেব তপ্ত অশ্রু আমার নিমিষে শুকাইত । বৰ্ম্ম হইতে চলিয়া, আসার কথাটা মনে পড়িত। ঠিক সেই সময়টায় তখন রেজুনে মরণের ভয়ে ভাই বোনকে, ছেলে বাপ-মাকেও, ঠাই দিতে না ।