পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

岛啤博 Rbo <ইয়া সৌখীন আব্বজনায় সমস্ত দেশ পরিপূর্ণ হইয়া উঠিতেছে, তাহার প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণ না জন্মিয়াই পারে না। বিশেষতঃ দরিদ্র মানবের যে দুঃখ ও যে হীনতা এইমাত্র চোখে দেখিয়া আসিলাম, কোন যুক্তি-তর্ক দিয়াই তাহার উত্তর মিলে না, তথাপি কহিলাম, আবশ্যকের অতিরিক্ত জিনিসগুলো অপচয় না করে যদি বিক্রী হয়ে অর্থ আসে, সে কি নিতান্তই মন্দ ? ভদ্রলোক লেশমাত্র ইতস্ততঃ না করিয়া নিঃসঙ্কোচে বলিলেন, হঁহা, নিতান্ত মন্দ, নিছক অকল্যাণ । ইহার ক্রোধ ও ঘূণা আমার অপেক্ষা ঢের বেশি প্ৰচণ্ড । বলিলেন, এই অপচয়ের ধারণাটা আমার বিলাতের আমদানি, ধৰ্ম্মস্থান ভারতবর্ষের মাটিতে এর জন্ম হয়নি, জন্ম হ’তেই পারে না । মশাই, মাত্র নিজের প্রয়োজনটুকুই কি একমাত্র সত্য ? যার নেই তার প্রয়োজন মিটানোর কি কোন মূল্যই পৃথিবীতে নেই? সেটুকু বাইরে চালান দিয়ে অর্থ সঞ্চয় না করাই হ’ল অপচয়, হ’ল অপরাধ ? এই নিৰ্ম্মম, নিষ্ঠুর উক্তি আমাদের মুখ দিয়ে বার হয়নি, বার হয়েছে তাদের, যারা বিদেশে থেকে এসে দুৰ্ব্বলের মুখের গ্ৰাস কেড়ে নেবার দেশব্যাপী জালে ফাসের পরে ফাস যোজনা ক’রে চলেছে । বলিলাম, দেখুন, দেশের অন্ন বিদেশে বার ক’রে নিয়ে যাবার আমি পক্ষপাতী নই, কিন্তু একের উদবুত্ত অন্নে অপরের চিরদিন ক্ষুন্নিবৃত্তি হ’তে থাকবে এইটেই কি মঙ্গলের ? তা ছাড়া বাস্তবিক বিদেশ থেকে এসে ত তারা জোর ক’রে কেড়ে নিয়ে যায় না ? অর্থ দিয়ে কিনে নিয়েই ত যায় । ভদ্রলোক তিক্তকণ্ঠে জবাব দিলেন, স্থা, কিনেই বটে। বঁড়িশিতে টোপ গেথে জলে ফেলা যেমন মাছের সাদর নিমন্ত্ৰণ । এই ব্যাঙ্গোক্তির উত্তর দিলাম না। কারণ একে ত ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও শ্ৰান্তিতে বাদানুবাদের শক্তি ছিল না, অপিচ উহার বক্তব্যের সহিত মূলতঃ उद्धांभांब्र विलंब भडrge हिल ना । DBDBDBB g BDBDB DB rBDD DD BDBESBDD