পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांg Y Rhys আনন্দ জঁ-ই করিয়া উঠিল-আরে এত খাওয়া যায় ? রাজলক্ষ্মী বলিল, যায় না ত সন্ন্যাসী হতে গিয়েছিলে কেন ? আরও পাঁচজন ভদ্রলোকের মত গোরস্ত থাকলেই হ’ত । আনন্দেব দুই চক্ষু সহসা বাস্পচ্ছিন্ন হইয়া উঠিল, কহিল, আপনার মত দিদির দল বাংলা মুলুকে আছে বলেই ত, নইলে দিব্যি ক’রে বলছি, আজই এই গেরুয়া-টেকয়াগুলো অজয়ের জলে ভাসিয়ে দিয়ে ঘৰে চলে যেতাম , কিন্তু আমাৰ একটা অনুবোধ আছে, দিদি । পবশু থেকেই একবকম উপোস ক’বে আছেন, আজ আহ্নিক-টা হিন্দুকগুগো একটু সকাল-সকাল সেবে নিন। এগুলোতে এখনও স্পৰ্শ-দোষ ঘটে নি, বলেন ত না হয়এই বলিয়া সে সম্মুখের ভোজ্য-বস্তুব প্ৰতি দৃষ্টিপাত কবিল। রাজলক্ষী ভয়ে চক্ষু বিস্ফাবিত কবিয়া কহিল, বলে কি আনন্দ, কাল যে আমার সমস্ত ব্ৰাহ্মণ এসে উঠতে পাবেননি ! আমি বললাম, আগে তঁাবা এসে উঠন। তাবপরে DDDDB BDDS BuSDBD DBDBBB BuBuBD DuDSDDDSSS SSBBBB BD DLSuDBBD দিন, পাষাগুদের গলায় গামছা দিয়ে এনে ভোজন করিয়ে ছাড়বো । এই বলিয়া সে উঠাব পরিবর্তে থালা টানিয়া লইয়া নিজেই ভোজনে মন द्विठ् । রাজলক্ষ্মী হাসিয়া বলিল, সন্ন্যাসী। কিনা, দেব-দ্বিজে অতিশয় ভক্তি । এইৰূপে আমাদেব সকালেব চা খাওয়ার পালাটা যখন সাঙ্গ হইল। তখন বেলা আটটা । বাহিবে আসিয়া বসিলাম । শরীরেও গ্লানি ছিল না, হাসি-তামাসায় মনও যেন স্বচ্ছ, প্ৰসন্ন হইয়া উঠিল । রাজলক্ষ্মীর বিগত রাত্রির কথাগুলোর সহিত তাহার। আজিকার কথা ও আচরণের কোন ঐক্যই ছিল না । সে যে অভিমান ও বেদনায় ব্যথিত হইয়াই ওরূপ কহিয়াছিল তাহাতে তার সন্দেহ নাই। বস্তুতঃ রাত্রির স্তব্ধ আঁধার আবরণের মধ্যে তুচ্ছ ও সামান্য ঘটনাকে বৃহৎ ও কঠোর কল্পনা করিয়া যে দুঃখ ও দুশ্চিন্তা ভোগ করিয়াছিলাম, আজ দিনের আলোকে তাহা স্মরণ করিয়া মনে মনে লজ্জাও পাইলাম, কৌতুকও অনুভব করিলাম ।