পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v মনে শান্তিও পাই না-জাল কাটিয়া বাহির হইতেও পারি না। এমনি সময়ে হঠাৎ একটা সুযোগ ঘটিল। ঠাকুর্দা জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার কোষ্ঠী আছে কিনা। সেটা ত দরকার ? জোর করিয়া সমস্ত সঙ্কোচ কাটিয়া বলিয়া ফেলিলাম, আপনারা কি পুটুর সঙ্গে আমার বিবাহ দেওয়া সত্যিই স্থির করেছেন ? ঠাকুর্দা কিছুক্ষণ হাঁ করিয়া রহিলেন, পরে বলিলেন, সত্যিই ? শোন কথা একবার । किस उभांभि उ ५aथानां हिद्ध कत्रि नेि । করো নি ? তাহলে করে। মেয়ের বয়েস বারো-তেরোই বলি আর যাই করি, আসলে ওর বয়েস হলো সতেরো-আঠারো। এর পরে ও মেয়ের বিয়ে দেবো। আমরা কেমন করে ? কিন্তু সে দোষ তা আমার নয় ! দোষ তবে কার ? আমার বোধ হয় ? ইহার পরে মেয়ের মা ও রাঙাদিদি হইতে আরম্ভ করিয়া প্ৰতিবেশী মেয়েরা পৰ্য্যন্ত আসিয়া পড়িল। কান্নাকাটি, অনুযোগঅভিযোগের আর অন্ত রহিল না। পাড়ার পুরুষেরা কহিল, এত বড় শয়তান আর দেখা যায় না, উহার রীতিমত শিক্ষা দেওয়া অবশ্যক । কিন্তু শিক্ষা দেওয়া এক কথা, মেয়ের বিবাহ দেওয়া আর এক কথা। সুতরাং ঠাকুর্দা চাপিয়া গেলেন। তারপরে সুরু হইল অনুনয়-বিনয়ের পালা। পুটুকে আর দেখি না, সে বেচারা লজ্জায় বোধ করি কোথাও মুখ লুকাইয়া আছে। ক্লেশ বোধ হইতে লাগিল। কি দুর্ভাগ্য লইয়াই উহারা আমাদের ঘরে জন্মগ্রহণ করে। শুনিতে পাইলাম ঠিক এই কথাই উহার মা বলিতেছে-ও হতভাগী আমাদের সবাইকে খেয়ে তবে যাবে। ওর এমনি কপাল যে ও চাইলে সমুদ্ৰৱ পৰ্যন্ত শুকিয়ে যায়-পোড়া শোল মাছ জলে suit a vet ( at vs 3