পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

artvg 美$ স্বয়ং মা আছেন যে বাড়ীর গিল্পী-এমন সংসারকে নিন্দে করবে: কে ? আমি কিন্তু অনেক কালের চাকর, জাতে নাপাতে-রত্নাকে অত সহজে ভোলানো যায় না। বাবু। তাই ত সেদিন ইষ্টশানে চোখের জল সামলাতে পারি নি, প্রার্থনা জানিয়েছিলাম বিদেশে চাকরের অভাব হলে রতনকে একটা খবর পাঠাবেন। জানি, আপনার সেবা করলেও সেই মায়ের সেবাই কিবা হবে। ধৰ্ম্মে পতিত হবে না । কিছুই বুঝিলাম না, শুধু নীবাবে চাহিয়া বহিলাম। সে বলিতে লাগিল, বন্ধুবাবুর বয়সও হ’লো, যা হোক একটু বিদ্ভোসিদ্যে শিখে মানুষও হয়েছেন। ভাবচোন বোধ হয় কিসেব জন্য আব্ব পববশে থাকা ? দানপত্রেব জোরে মেবে তা সব নিয়েছেন। মোটামুটি যে বেশ কিছু মেরেছেন তা মানি, কিন্তু সে কতক্ষণ বাবু ? স্পষ্ট এখনও হইল না, কিন্তু একটা আবছায়া চোখের সম্মুখে ভাসিয়া আসিল । সে পুনশ্চ বলিতে লাগিল, স্বচক্ষেই ত দেখেছেন মাসে অন্ততঃ দুবার করে আমার চাকরী যায়। অবস্থা মন্দ নয়, রাগ করে চলে গেলেও পাবি, কিন্তু যাই নে কেন ? পারি নে। এটুকু জানি, যার দয়ায় হয়েছে তার একটা নিঃশ্বাসেই আশ্বিনের মেঘের মতো সমস্ত উবে যাবে, চোখের পাতা ফেলবার সময় দেবে না । ও তো মায়েব রাগ নয়, ও আমার দেবতার আশীর্বাদ। এখানে পাঠককে একটু স্মরণ করাইয়া দেওয়া আবশ্যক যে রতন ছেলেবেলায় কিছুকাল প্ৰাইমারী স্কুলে বিদ্যালাভ করিয়াছিল। একটু থামিয়া কহিল, মায়ের বারণ তাই কখনো বলি নে । ঘরে যা কিছু ছিল খুড়োরা ঠকিয়ে নিলে, একঘর যজমান পৰ্যন্ত দিলে না। ছোট দুটি ছেলেমেয়ে আর তাদের মাকে ফেলে পেটের দায়ে একদিন গা ছেড়ে বার হলাম, কিন্তু পূৰ্ব্বজন্মের তপিন্তে ছিল, আমার এই মায়ের ঘরেই চাকরী জুটে গেল। সমস্ত দুখেই