পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

怨> Softe করে ছাড়বে। মা বড় লজ্জা পাবেন বাবু, ও মতলবে কাজ 6नछे । শুনিয়া নিস্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিলাম। রতন আমার চেয়ে ঢের বেশী বুদ্ধিমান। অর্থহীন আকস্মিক-করুণার হঠকারিতার জরিমানা আমাকে দিতেই হইবে । নিস্তার নাই । রতন পাড়াগায়ের ঠাকুর্দাকে যে চিনিতে ভুল করে নাই, বুঝা গেল। যখন চতুর্থ দিবসে তিনি ফিরিয়া আসিলেন। কেবল আশা করিয়াছিলাম, এবার নিশ্চয় হাকিম-পিসেমশাই সঙ্গে আসিবেনকিন্তু একাই আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বলিলেন, দশখানা গ্রামের মধ্যে ধন্য ধন্য পড়ে গেছে দাদা, সবাই বলচে, কলিকালে এমন কখনো শোনা যায় না। গরীব ব্ৰাহ্মণের কন্যাদায় এভাবে উদ্ধার করে দিতে কেউ কখনো চোখে দেখিনি। আশীৰ্ব্বাদ করি চিরজীবী ge জিজ্ঞাসা করিলাম, বিয়ে কবে ? এই মাসের পাঁচিশে স্থির হয়েছে, মধ্যে কেবল দশটা দিন বাকী । কাল পাকা দেখা, আশীৰ্ব্বাদ--বেলা তিনটের পর বারবেলা, এর ভেতরেই শুভকৰ্ম্ম সমাধা করে নিতে হবে ; কিন্তু তুমি না গেলে বরঞ্চ সব বন্ধ থাকবে, তবু কিছুই হতে পারবে না। এই নাও তোমার পুটুর চিঠি-সে নিজের হাতে লিখে পাঠিয়েছে ; কিন্তু তাও বলি দাদা, যে রত্ন তুমি স্বেচ্ছায় হারালে তার জোড়া কখনো পাবে না। -এই বলিয়া তিনি ভঁাজ-করা একখণ্ড হুলদে রঙের কাগজ আমার হাতে দিলেন । কৌতুহলবশতঃ চিঠিখানা পড়িবার চেষ্টা করিলাম, ঠাকুর্দা হঠাৎ একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ কুরিয়া বলিলেন, কালিদাসের পয়সা থাকলে হবে কি, একেবারে ছোটলোক-চামার। চোখের চামড়া বলে।