পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€ীকান্ত a গহর দ্রুতবেগে উঠিয়া আমাকে সজোরো বাহুপাশে আবদ্ধ করিল। তাহার আবেগ থামিতে চাহে না এমনি ব্যাপার ঘটিল। কোনমতে নিজেকে মুক্ত করিয়া বসিয়া পড়িলাম, বলিলাম, বাবাজী, আমাকে হঠাৎ চিনলেন কি করে ? বাবাজী হাত নাড়িলেন-ও চলবে না গোঁসাই, ক্রিয়াপদেব শেষের ঐ সম্রামের দন্ত্য 'ন'টি বাদ দিতে হবে । তবে ত রস জমবে। বলিলাম, তা যেন দিলাম, কিন্তু হঠাৎ আমাকে চিনলে কি করে ? বাবাজী কহিলেন, হঠাৎ চিনবো কেন ? তুমি যে আমাদেব বৃন্দাবনের চেনা মানুষ গোঁসাই, তোমাব চোখ দুটি যে বসেব সমুদ্ৰৱ—ও যে দেখলেই চােখে পড়ে। যেদিন কমললতা এলো— তারও এমনি দুটি চোখ-তারে দেখেই চিনলাম-কমলীলতা, কমললতা, এতদিন ছিলে কোথা ? কমল এসে সেই যে আপনাব হ’লো তার আর আদি-অন্ত বিরহ-বিচ্ছেদ রইল না। এই তা সাধনা গোসাই, একেই ত বলি রসের দীক্ষা । বলিলাম, কমললতা দেখবো বলেই ত এসেছি গোসাঁই, কই সে ? We বাবাজী ভারী খুশী হইলেন, বলিলেন, দেখবে তাকে ? কিন্তু সে তোমার অচেনা নয় গোঁসাই, বৃন্দাবনে তাকে অনেকবার দেখেচে । হয়ত ভুলে গেছে, কিন্তু দেখলেই চিনবে সেই কমললতা। গোঁসাই, ডাকো না একবার তারে। এই বলিয়া বাবাজী গহরকে ডাকিতে ইঙ্গিত করিলেন। ইহার কাছে সবাই গোঁসাই, বলিলেন, বলে। গো শ্ৰীকান্ত এসেছে তোমাকে দেখতে । গহর চলিয়া গেলে জিজ্ঞাসা করিলাম, গোঁসাই, আমার কথা বুঝি তোমাকে গহর সমস্ত বলেছে ? বাবাজী ঘাড় নাড়িয়া কহিলেন, হঁয়, সমস্ত বলেছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, গোঁসাই, ছ’-সাত দিন আসে নি কেন ? সে