পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sty বলিলাম, তবে থাক। সব কথায় কাজ নেই, কিন্তু একটা বলে, গোসাইজী দ্বারিকান্দাসকে যোগাড় করলে কোথায় ? কমললতা সঙ্কোচে জিভ কাটিয়া কপালে হাত ঠেকাইল, বলিল, ঠাট্টা করতে নেই, উনি যে আমার গুরুদেব গোঁসাই । গুরুদেব ? তুমি ওঁর কাছেই দীক্ষা নিয়েছে ? না, দীক্ষা নিই নি বটে, কিন্তু উনি তঁর মতোই পূজনীয়। কিন্তু এই যে এতগুলো বৈষ্ণবী-সেবাদাসী নাকি যে বলোকমললতা পুনশ্চ জিভ কাটিয়া বলিল, ওবা আমার মতোই ওঁর শিষ্য । ওদেরও তিনি উদ্ধার করেছেন। কহিলাম, নিশ্চয়ই কবেছেন ; কিন্তু পবকীয়া সাধনা, না কি এমনি একটা সাধন-পদ্ধতি তোমাদেব আছে-তাতে তো দোষ a委一 বৈষ্ণবী আমাকে থামাইয়া দিয়া বলিল, তোমাবা দূর থেকে আমাদের কেবল ঠাট্টা-তামাসাই করলে, কাছে এসে কখনো ত কিছু দেখলে না, তাই সহজেই বিদ্রুপ করতে পারে। আমাদের বড়গোঁসাইজী সন্ন্যাসী, ওঁকে উপহাস করলে অপরাধ হয়, নতুনগোঁসাই, অমন কথা আর কখনো মুখে এনে না। তাহাব কথা ও গাম্ভীৰ্য্যে একটু অপ্ৰতিভ হইলাম। বৈষ্ণবী তাহা লক্ষ্য করিয়া স্মিতমুখে বলিল, দুদিন থাকো না গোঁসাই আমাদেব কাছে। কেবল বড়গোঁসাইজীর জন্যেই বলেচি নে, আমাকে ত তুমি ভালবাসো, আর কখনো যদি দেখা না-ও হয় তবুও দেখে যাবে কমললতা সত্যিই কি নিয়ে সংসারে থাকে। যতীনকে আমি আজো ভুলি নিী-দুদিন থাকো-আমি বলচি তোমাকে, তুমি যথার্থই খুশী হবে। চুপ করিয়া রহিলাম। ইহাদের সম্বন্ধে একেবারেই যে কিছু জানি না। তাহা নয়, জাত-বোষ্ট্রমের মেয়ে টগরের কথাটাও মনে পড়িল, কিন্তু রহস্য করতে আর প্রবৃত্তি হইল না। যতীনের bሠዓ