পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€रकारुङ bryr প্ৰায়শ্চিত্তের ঘটনা সকল আলোচনার মাঝখানে রহিয়া রহিয়া আমাকেও যেন উন্মনা করিয়া দিতেছিল। বৈষ্ণবী হঠাৎ প্রশ্ন করিল, হঁ। গোঁসাই, এই বয়সে সত্যিই কাউকে কখনো কি ভালোবাসে নি ? তোমাব কি মনে হয় কমললতা ? আমার মনে হয়-না। তোমাৰ মনটা হ’ল আসলে বৈরাগীর মন, উদাসীনেব মন,_প্রজাপতিব-মতো। স্বাধন – তুমি কখনো (कमांकiल (2ाद 2 ! হাসিয়া বলিলাম, প্ৰজাপতিব উপমা ত ভালো হ’ল না। কমললতা, ওটা যে অনেকটা গালাগালিব মত শুনতে। আমার ভালোবাসাব মানুষ কোথাও যদি সত্যিই কেউ থাকে, তার কানে গেলে যে অনৰ্থ বাধবে । বৈষ্ণবী ও হাসিল, কহিল, ভয় নেই গোঁসাই ; সত্যিই যদি কেউ থাকে। আমার কথায় সে বিশ্বাস করবে না, তোমার মধু-মাখিানো ফঁাকিও সে সারাজীবনে ধরতে পারবে না । বলিলাম, তবে তার দুঃখ কিসের ? হোক না ফাকি কিন্তু তার কাছে ত সে-ই সত্যি হয়ে রইলো । বৈষ্ণবী মাথা নাড়িয়া কহিল, সে হয় না গোঁসাই, মিথ্যে কখনো সত্যির জায়গা নিয়ে থাকতে পারে না। তারা বুঝতে না পারুক, কারণটা তাদের কাছে সুস্পষ্ট না হোক, তবু অন্তরটা তাদের নিরন্তব্য অশ্রুমুখী হয়েই থাকে । মিথ্যের কাণ্ড দেখেচিত। ৭ এমনি ক’রে। এ-পথে কত লোকই এলো, এ-পথ যাদের সত্যি নয়, জলের ধারা-পথে শুকনো বালির মতো সমস্ত সাধনাই তাদের চিরদিন আলগা হয়ে রইলো, কখনো জমাট বাঁধতে পারলে না।