পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ישהא& যাচ্ছি ; কিন্তু যাবার আগে গহরের কথাটা একটু জেনে যেতে ইচ্ছে করে । বৈষ্ণবী নিঃশ্বাস ফেলিয়া শুধু বলিল, গহরের কথা ? না, সে শুনে তোমায় কাজ নেই ; কিন্তু সত্যিই কি কাল যাবে ? हैं, नडिाझे कब्ल शहद । বৈষ্ণবী মুহুৰ্ত্ত থামিয়া বলিল, কিন্তু এ আশ্রমে আবার যখন তুমি আসবে, তখন কিন্তু কমললতাকে আর খুজে পাবে না গোঁসাই। ख्थळे এখানে আর একদণ্ডও থাকা উচিত নয়। এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল না, কিন্তু তখনি কে যেন আড়ালে দাড়াইয়া চোখ টিপিয়া ইশারায় নিষেধ করে, বলে, যাবে কেন ? ছ’-সাত দিন থাকবে ব’লেই ত এসেছিলে-থাকো না । কষ্ট ত কিছুই নেই। রাত্ৰে বিছানায় শুইয়া ভাবিতেছিলাম, কে ইহার একই দেহের মধ্যে বাস করিয়া একই সময়ে ঠিক উল্টো মতলব দেয়। কাহার কথা বেশী সত্য ? কে বেশী আপনার ? বিবেক, বুদ্ধি, মন প্ৰবৃত্তি-এমন কত নাম, কত দার্শনিক ব্যাখ্যাই না ইহার আছে, কিন্তু নিঃসংশয় সত্যকে আজও কে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারিল ? যাহাকে ভালো বলিয়া মনে করি, ইচ্ছা আসিয়া সেখানে পা বাড়াইতে বাধা দেয় কেন ? নিজের মধ্যে এই বিরোধ, এই দ্বন্দ্বের শেষ হয় না। কেন ? আিমন বলিতেছে, আমার চলিয়া যাওয়াই শ্রেয়া, চলিয়া যাওয়াই কল্যাণের, তবে পরীক্ষণে সেই মনের দু'চােখ ভরিয়া জল দেখা দেয় কিসের জন্য ? বুদ্ধি, বিবেক, প্ৰবৃত্তি, মন-এই সব কথার সৃষ্টি করিয়া কোথায় সত্যকার সাত্মােনা ?