পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২১

3 • ዓ ve কিছুই থাকবে না। বাবু, যা আছে সব বৈরাগীদের পেটে গিয়েই একদিন ঢুকবে। বলিলাম, হয়ত গুজোব, সত্যি নয় ; কিন্তু সে-পক্ষে তোমাদের নয়ন চক্কোত্তিও তা কম নয়, নবীন ! নবীন সহজেই স্বীকাব করিয়া কহিল, সে ঠিক। বিটুলে বামুন মস্ত ধড়িবাজ ; কিন্তু বিশ্বেস না করি কি ক’বে বলুন। সেদিন খামোক আমাৰ ছেলেদেব নামে দশ বিঘে জমি দানপত্তাব কবে দিলে। অনেক মানা কবলুম, শুনলে না। বাপ বহুত বেখে গেছে মানি, কিন্তু বিলোলে। ক'দিন বাবু? একদিন বললে কি জানেন ? বললে, আমরা ফকিবেব বংশ, ফকিবি আমাৰ ত কেউ ঠকিয়ে নিতে পারবে না ? শুনুন কথা । নবীন চলিয়া গেল। একটা বিষয় লক্ষ্য কবিলাম, আমি কিসের জন্য যে এতদিন মঠে পিডিয়া আছি এ কথা সে জিজ্ঞাসাও করিল না। জিজ্ঞাসা করিলেই যে কি বলিতাম জানি না, কিন্তু মনে মনে লজ্জা পাইতাম। তাহার কাছেই আরও একটা খবর পাইলাম, কালিদাসবাবুব ছেলের ঘটা করিয়া বিবাহ হইয়া গিয়াছে। সাতাশে তারিখটা আমার খেয়াল ছিল না। নবীনের কথাগুলো মনে মনে তোলাপাড়া করিতে অকস্মাৎ বিদ্যুৎবেগে একটা সন্দেহ জাগিল-বৈষ্ণবী কিসের জন্য চলিয়া যাইতে চায়। সেই ভুরুওয়ালা কদাকার লোকটার কষ্ঠিবদলকরা স্বামিত্বের হাঙ্গামার ভয়ে কদাচি নয়-এ গহির। এখানে আমার থাকার সম্বন্ধে তাই বোধ করি বৈষ্ণবী সেদিন সকৌতুকে বলিয়াছিল, আমি ধরে রাখলে সে রাগ করবে না গোঁসাই। রাগ করবার লোক সে নয়, কিন্তু কেন সে আর আসে না ? হয়ত বা নিজের মনে মনে কি কথা সে ভাবিয়া লইয়াহে। সংসারে