পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3Rt švNg ভালো । অন্ততঃ মন্দ বলা চলে না। নাক-খাদা, উন্ধি-পরা যাদের তুমি দেখেচো তাদের দলের নয়। এ ভদ্রঘরের মেয়ে। রাজলক্ষ্মী কহিল, সে আমি ওর কথা শুনেই বুঝেচি। যে-কদিন ছিলে তোমাকে যত্ন করত ত ? বলিলাম, হঁ্যা । আমার কোন নালিশ নেই। রাজলক্ষ্মী হঠাৎ একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিয়া উঠিল, তা করুক। যে সাধ্যিসাধনায় তোমাকে পেতে হয়, তাতে ভগবান মেলে। সে বোষ্টম-বৈরাগীর কাজ নয়। আমি ভয় করতে যাবো কোথাকার কে এক কমললতাকে ? ছিঃ! এই বলিয়া সে উঠিয়া বাহিরে চলিয়া গেল। আমার মুখ দিয়াও একটা বড় নিঃশ্বাস পড়িল। বোধ হয় একটু বিমনা হইয়া পড়িয়ছিলাম, এই শব্দে হুস হইল। মোট তাকিয়াটা টানিয়া লইয়া চিৎ হইয়া তামাক টানিতে লাগিলাম। উপরে কোথায় একটা ছোট মাকড়সা ঘুরিয়া ঘুরিয়া জাল বুনিতেছিল, উজ্জল গ্যাসের আলোয় ছায়াটা তার মস্ত বড় বীভৎস জন্তুর মতো কড়িকাঠেব গায়ে দেখাইতে লাগিল। আলোকের ব্যবধানে ছায়াটাও কত গুণেই না। কায়াটাকে অতিক্ৰম করিয়া যায়। রাজলক্ষ্মী ফিরিয়া আসিয়া আমারই বালিশের এককোণে কনুয়ের ভর দিয়া কুকিয়া বসিল । হাত দিয়া দেখিলাম তাহার কপালের চুলগুলা ভিজা। বোধ হয় এইমাত্র চোখে-মুখে জল ष्ट्रिा अनेिढन । প্রশ্ন করিলাম, লক্ষ্মী, হঠাৎ এ রকম কলকাতায় চলে এলে যে ? রাজলক্ষ্মী বলিল, হঠাৎ মোটেই নয়। সেদিন থেকে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাই এমন মন কেমন করতে লাগলো যে কিছুতেই টিকতে পারলুম না, ভয় হলো বুঝি হার্টফেল করবে-এ জন্মে আর চোখে দেখতে পাবো না, এই বলিয়া সে গুড়গুড়ির নলটা আমার মুখ