পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত St. রাজলক্ষ্মী পরিয়া আসিয়াছে একখানা নীলাম্বরী শাড়ী, তাহারি সরু জরির পাড়ের সঙ্গে এক হইয়া মিশিয়াছে গায়ের নীলরঙের জামা। আর সব তেমনি আছে। কেবল সকালের উড়ে পাণ্ডার পরিকল্পিত কপালের ছাপছোপ এবেলা অনেকখানি মুছিয়াছেঅবশিষ্ট যা আছে সে যেন আশ্বিনের ছেড়াখোড়া মেঘ, নীল আকাশে কখন মিলাইল বলিয়া। অতি শিষ্ট-শান্ত মানুষ, আমাব প্ৰতি কটাক্ষেও চাহিল না-যেন চেনেই না । তবু যে কেন একটুখানি হাসি চাপিয়া লইল, সে সেই জানে। কিংবা আমারও ভুল হইতে পারে—অসম্ভব নয়। আজ বাবাজামশায়ের গান জমিল না , কিন্তু সে তঁর দোষে নয়, লোকগুলোর অধীরতায় । দ্বাবিকাদাস চোখ চাহিয়া রাজলক্ষ্মীকে আহবান করিয়া বলিলেন, দিদি, আমার ঠাকুরদের এবার তুমি কিছু নিবেদন করে শোনাও, শুনে আমরাও ধন্য হই। রাজলক্ষ্মা সেইদিকে মুখ করিয়া ফিরিয়া বসিল। দ্বারিকান্দাস খোলটার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিলেন, ওটায় কোন বাধা छद्मigष •ा ऊ ? ब्राडली कश्लि, भां । শুনিয়া শুধু তিনি নয়, মনোহরদাসও মনে মনে কিছু বিস্ময়বোধ করিলেন। কাবণ, সাধারণ মেয়েদেব কাছে এতটা বোধ কবি ভঁাহাবা আশা করেন না । গান সুক হইল। সঙ্কোচের জড়িমা, অজ্ঞতার দ্বিধা কোথাও নাই-নিঃসংশয়ের কণ্ঠ অবাধ জলস্রোতের ন্যায় বহিয়া চলিল। এ বিদ্যায় সে সুশিক্ষিতা জানি, এ ছিল তাহার জীবিকা ; কিন্তু বাংলার নিজস্ব সঙ্গীতের এই ধারাটাও সে যে এত যত্ন করিয়া আয়ত্ত করিয়াছে তাহা ভাবি নাই। প্ৰাচীন ও আধুনিক বৈষ্ণব কবিগণের এত বিভিন্ন পদাবলী যে তাহার কণ্ঠস্থ তাহা কে জানিত। শুধু সুরেতালে-লিয়ে নয়, বাক্যের বিশুদ্ধতায়, উচ্চারণের স্পষ্টতায় এবং প্ৰকাশ