পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন গোপন করিয়া গেলাম, তাহার কারণ-এই লেখাটুকুর শেষ পর্যন্ত পড়িলেই বুঝিতে পারিবে। আমার বাবা বড়লোক। তঁর ছেলে ছিল না। আমরা দুটি বোন। সেইজন্য বাবা দরিদ্রের গৃহ হইতে স্বামীকে আনাইয়া নিজের কাছে রাখিয়া লেখাপড়া শিখাইয়া মানুষ করিতে চাহিয়াছিলেন। তঁহাকে লেখাপড়া শিখাইতে পারিয়াছিলেন ; কিন্তু মানুষ করিতে পারেন নাই ! আমার বড় বোন বিধবা হইয়া বাড়ীতেই ছিলেনইহাকেই হত্যা কবিয়া স্বামী নিরুদেশ হ’ন। এ দুষ্কর্ম কেন করিয়াছিলেন, তাহার হেতু তুমি ছেলেমানুষ, আজি না বুঝিতে পারিলে ও একদিন বুঝিবে । সে যাই হোক বল ত শ্ৰীবান্ত, এ দুঃখ কত বড় । এ লজ্জা কি মর্মান্তিক । তবুও তোমাব দিদি সব সহিয়াছিল। কিন্তু স্বামী হইয়া যে অপমানের আগুন তিনি তঁাব স্ত্রীর বুকের মধ্যে জ্বালিয়া দিয়া গিয়াছিলেন, সে জ্বালা আজও তোমার দিদির ২ মে নাই । যাক সে কথা । তার ELE KLT BBYY aY0 DBDYS E KSSS S SBDSBYSYY SLLLLLD দেখিয়াছিলে, তেমনি বেশে আমাদেরই বাটীব সম্মুখে তিনি সাপ DBBDDBBuBDBB S SDDDB BDD BD BBL kBBBD DDDSDDD BDD পারিয়াছিলাম। আমার চক্ষুকে তিনি ফাঁকি দিতে পারেন নাই। শুনি, এ দুঃসাহসের কাজ নাকি তিনি আমার জন্যই করিয়াছিলেন । কিন্তু সে মিছে কথা। তবুও একদিন গভীর রাত্রে খিড়কীর দ্বার খুলিয়া আমি স্বামীর জন্যই গৃহত্যাগ করিয়াছিলাম। কিন্তু সবাই শুনিল, সবাই জানিল, অন্নদা কুলত্যাগ করিয়া গিয়াছে। এ কলঙ্কের বোঝা আমাকে চিরদিনই বহিয়া বেড়াইতে হইবে । কোন উপায় নাই । কারণ স্বামী জীবিত থাকিতে আত্মপ্ৰকাশ করিতে পারি নাই । পিতাকে চিনিতাম ; তিনি কোনমতেই তার সন্তানঘাতীকে ক্ষমা করিতেন না । কিন্তু আজি যদিও আর সে ভয় নাই-আজ গিয়া ভঁাহাকে বলিতে পারি, কিন্তু এ গল্প এতদিন পরে কে বিশ্বাস করিবে ? সুতরাং পিতৃগৃহে আমার আর স্থান माछे। उा' छांट्रा अभि आदान भूनगभानौ । এখানে স্বামীয় ঋণ যাহা ছিল, পরিশোধ করিয়াছি। আমার কাছে লুকানো দুটি সোনার মাকড়ি ছিল, তাহাই বেচিয়াছি, তুমি যে পাঁচটি