পাতা:শ্রীকালাচাঁদ-গীতা.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9/2 শ্ৰীভগবানের, ও জাবের সহিত জীবের কিরূপ মধুর সম্বন্ধ, ইহা এই গ্রন্থে যেরূপে বর্ণিত হইয়াছে, তাহ পাঠ করিলে আপনাপনি নয়নুে আনন্দ জল আইসে, ও জগৎ সুখকর বলিয়া বোধ হয়। গ্রন্থ খনি আমার অগ্রজ মহাশয়ের। সুতরাং আমি তাহার সমুদায় কার্য প্রেম-চক্ষে দেখিয়া থাকি। আমি তাহার গ্রন্থের fಣಿ বিচাবক হইতে পারি না। তবে আমার সরল বিশ্বাস,এই যে, গ্রন্থ পাঠে আমার ন্যায় অনেকে উপকার পাইতে পারেন । গ্রন্থকার আমার অগ্রজ মহাশয় এবং তাহার সহিত আমার দিবানিশি বাস; এই কারণে গ্রন্থ সম্বন্ধে কতকগুলি কৌতুহল জনক ঘটনা আমি জানি, তাহ এই উপলক্ষে আমার বলা উচিত বলিয়া বলিব। শ্ৰীঅমিয় নিমাই চরিতের ন্যায়, শ্ৰীকালাচাঁদগীতারও জন্মস্থান দেওঘর, বৈদ্যনাথ। একদিন গ্রন্থকার দেওঘরের কোন পাহাড়ের উপর একটা অপূৰ্ব্ব নীল বর্ণের বনফুল দেখিলেন, দেখিবা মাত্র চমকিত হইলেন। ভাবিলেন, বিলি ফুট আঁকিয়ছেন তিনি ও কারিগর নহেন, রসিকও বটেন, কারণ এত স্থান থাকিতে, পাহাড়ের উপর এই সুন্দর ফুলট, যেন পাছে কেহ দেখে, এই ভয়ে, লুকাইয়া রাখিয়াছেন। আবার ইছা মনে করিয়া তাহার ক্ষোভ হইল যে, এই কারিগরী দেখিবার স্পৃহা কাহার নাই। তখনই তিনি এই দুটি চরণ কবিতা মনে মনে লিখিলেন— এই বন ফুল, সুন্দর অতুল, গুইলেন তৃণ মাঝে। কত লেক বায়ুংি দেখে তায়, বিব্রত সংসার কাজে ।