পাতা:শ্রীকালাচাঁদ-গীতা.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هله এই প্রথম কালাচাদ গীতার দুই ছত্র লেখা হইল। ইহা যে বৃহৎ গ্রন্থ আকারে লিখিত হইবে, তখন গ্রন্থকারের মনে তাহা উদয় হয় নাই । কিছু কাল পরে, সেই দেওঘরে এক দিন অতি প্রত্যুষে গ্রন্থকার দেখিলেন যে, কোন বৃক্ষের ডালে একটি পেচক তাহার প্রিয়ার সহিত, প্রীতি সম্ভাষণ করিতেছে। পেচক পক্ষীর মুখখানি হাস্য-উদ্দীপক তাহা সকলেই জানেন । আবার যেমন তার দুটি চেক, তেমনি তার ঠোট। পেচক প্রিয়ার সম্মুখে যাইয়া, নানা বিধ রঙ্গ করিতে লাগিলেন। সেই সুগোল যুগল মোটা মোট চক্ষু পাকাইয়া বদন ঘুরাইতে ঘুরাইতে, তাহার ভাষায় নানা রূপ প্রিয় সন্তযণ করিতে গেলেন। পেচকী ইহাতে অভিমানের সহিত মুখ ফিরাইয় অন্য দিকে সরিয়া বসিলেন। তখন পেচক আবার ঘুরিয়া সম্মুখে আসিলেন, আসিয়া আবার ঐক্লপ মুখ ঘুরাইয়া আরো যেন অধিকতর প্রিয়-সম্ভাষণ করিতে লাগিলেন। তখন পেচকী কিঞ্চিং প্রসন্ন হইয়া ঐরূপ সুস্বরে এবং ঐরূপ ভঙ্গি করিয়া তাহার কি উত্তর দিলেন। ইহ দেখিয় গ্রন্থকারের প্রাচীন একটী কবিতা মনে হইল, যথা, “পেচা দেখে পেচী গড়ে ।” পেচা পেচীদের ভাষা পল্লীগ্রামবাসীরা এইরূপ অনুবাদ করিয়া থাকেন। যথা, পেচা পেচীকে বলতেছেন, "মুন্দরি! বুঝলি, বুলি, বুঝলি ?” আর পেচী উত্তর করিতেছেন, “মুন্দর! বুঝলুম, বুঝলুম বুঝলুম।" গ্রন্থকার এই সকল কথা মনে করিয়া, আর সম্মুখের কাণ্ড দেখিয়া, হাস্য সম্বরণ করিতে পারিলেন না । তখনই অঁহীর মনে একটি ক্ষোভের উদয় হুইল । তিনি ভাবিলেন,