পাতা:শ্রীকালাচাঁদ-গীতা.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ļo যে, তাহার সম্মুখের এরূপ অদ্ভূত রঙ্গটা আর কেহই দেখিল না। হঠাৎ তখনই মনে উদয় হইল, কেন ? অার একজন ত তাহার সঙ্গে পেচক পেচকীর কাও দেখিয়া হাসা করিতেছেন ? তিনি কে? না, শ্ৰীভগবান! সেই মুহুর্তে এই চিত্তরঞ্জক অদ্ভুত জ্ঞানটি তাহার ক্ষরিত হইল যে, যিনি এই পেচক পেচকীর পিরীতিসম্ভাষণ প্রভৃতি স্বাস্যকর ব্যাপার সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনি অবশ্যই অতি কৌতুকপ্রিয়, রসিক, ও মধুর প্রকৃতি হইবেন। উপরি উক্ত বনফুল ও পেচক পেচকীর রঙ্গ লইয়া গ্রন্থকার “রসরক্ষিণী” অর্থাৎ প্রথম সর্থীর কাহিনী লিখিলেন। এইরূপ খণ্ডে খণ্ডে অল্প অল্প করিয়া গ্রন্থ প্রথমে লিখিত হয়। তখনও গ্রন্থকার জানিতেন না যে, এ সমস্ত লেখায় একটি সামপ্রস্য আছে, এবং ক্রমে ক্রমে একখানি গ্রন্থ লেখা হইতেছে । গ্রন্থকার প্রত্যহ অনেক সময় ভজনে যাপন করেন। সেই সময় কখন কখন তাহার বাহ্যজ্ঞান মাত্র থাকে না, কখন কথন অতি অল্প মাত্র বাহ্যজ্ঞান থাকে । এই শেষোক্ত অবস্থায় কালচাদ-গীতার অধিকাংশ লেখা হয়। এইরূপে তিনি অল্প অল্প লিখিতেন। কিন্তু ইহাতে যে পরস্পরে মিল ও সামঞ্জস্য আছে, আর তিনি যে এইরূপে তাহার এক প্রকার অজ্ঞাতসারে ক্রমে ক্রমে এক খালি গ্রন্থ লিখিতেছেন, তাহা তিনি পূৰ্ব্বে লক্ষ্য করেন নাই । যখন গ্রন্থ সমাপ্ত হইল, তখন দেখা গেল যে ইহার গোড়া হইতে আগ পর্যন্ত একটু সুন্দর মিল রহিয়াছে, এক তত্ত্বের সহিত অন্ত তত্ত্বের বিরোধ নাই, বরং তত্ত্বগুলি পরস্পরকে বরাবরই সহায়তা ও পুষ্ট করিয়া আসিয়াছে। গ্রন্থকার