পাতা:শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-বড়ুচণ্ডীদাস.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ موالا ] তিন প্রকার মুখত্যাগ দ্বারা যে আনন্দ অনুভব হয়, তাহাকে বিরমাননা কহে। বিরমানন্দই মহাযানের শুষ্ঠত বা নিৰ্ব্বাণপদ। উপরোক্ত সহজযানের সাধনপ্রণালী কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মের মধ্যে প্রবেশ করিয়া স হ জ ভ জন অtখ্যা পাইয়া থাকিবে। সহজ-ভজনে নামাশ্রয়, মন্ত্রাশ্রয়, ভাবাশ্রয়, প্রেমাশুল্প ও রসাশ্রয়, এই পাঁচ প্রকfর আশ্রয়ের উল্লেখ আছে। শেষ দুইটি আশ্রয়ই উত্তম। রস, নায়ক-নায়িকার সন্তোগ-স্বরূপ। উহা স্বকীয়া ও পরকীয়া-ভেদে দ্বিবিধ। সংজ-সাধনে পরকীয়া-রসষ্ট শ্রেষ্ঠ বলিয়া কথিত । সহজ-সম্প্রদায়ভুক্ত নর-নারী উত্তম আশ্রয়ে আশ্রিত হইয়া অপনাদিগকে যথাক্রমে শ্ৰীকৃষ্ণ ও ঐরাধিক অথবা তাহfর অনুগত সখী জ্ঞানে বৃন্দাবনলীলার অনুরূপ বিবিধ রসলীলার অনুকরণ কfরয় থাকেন। নায়িকী-সাধন সম্বন্ধে চণ্ডীদাস বলিয়াছেন,— শুষ্ক কাঠের সম আপনার দেহ করিতে হয় ॥ চণ্ডীদাসের অনেক পদে সহজ-আচারের গুরুত্ব বিজ্ঞাপিত হইয়াছে। চণ্ডীদাস সহজ-ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইবার পুৰ্ব্বে বিবাহিত হইয়াছিলেন, অনুমান হয় । তাহার। নিঃস্ব ছিলেন না । তাহীদের আত্মীয়-স্বজনেরও অভাব ছিল না। বামুণীকে সম্বোধন করিয়া কবি বলিতেছেন,— চণ্ডীদাস কহে তুমি সে গুরু। তুমি সে আমার কলপতরু ॥ ষে প্রেম-রতন কহিলে মোরে । কি ধন রতনে তুষিব তোরে ॥ ধন জন দt রা সোপিমু তোরে । দয়া না ছাড়িহ কখন মোরে ॥ t ইছ কি শুধু কথার মাত্রা ? যাহার কেহ নাই, কিছু নাই, তাহারবিশেষতঃ চণ্ডীদাসের পক্ষে এ কথা বল! কি সম্ভবপর ? যাহার এত দিন চণ্ডীদাসকে ‘আজীবন কুমার’ রাখিয়াছিলেন, তাহদের সম্বল এক ಇತ್ಯ' শত্ব। (আমাদের কৃত বড়, শব্দের টীকা দ্রষ্টব্য, পৃ-৪০৭) । প্রেম-প্রচারের গুরু ঠাকৃঃাণটি আবার তরতিরি ও;ধকে গিয়া রাষিণীকে