[ ২৯ } খণ্ডে বিভক্ত ; যথা—জস্বখও, তামূল-খণ্ড, দান-খণ্ড, নৌকা-খণ্ড, ভার-খণ্ড, ছত্র-থও, বৃন্দাবন-খণ্ড, কাণিয়-দমন-খণ্ড, যমুনা-খও, হার-খণ্ড, বাল-খণ্ড, বংশী-খণ্ড ও রাধার বিরহ-খণ্ড । জন্ম-খণ্ডে দেবগণের প্রার্থণায় ভূভার-হরণের নিমিত্ত রাধা-কৃষ্ণের জন্ম-লীলা বর্ণিত। তাম্ব,ণ-খণ্ডে রাধার অসামান্ত রূপ.লাবণ্যের কথা শুনিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ-কর্তৃক কামাচার আমন্ত্রণস্বচক তাম্বলাদি উপহার প্রেরণ অর্থাৎ শ্ৰীকৃষ্ণের পূর্ধ্বরাগ। দান-খণ্ডে রাধালাভার্থ, শ্ৰীকৃষ্ণ-কর্তৃক দানীর অভিনয়, রাধা-কৃষ্ণের মিলন ও সম্ভোগ। নৌকা-খণ্ডে শ্রীকৃষ্ণের কাণ্ডারী-বেশে গোপীগণকে যমুনা পার-করণ ও রাধা-কৃষ্ণের যমুনা-বিহার। ভার-খণ্ডে ভারবাহিরূপে শ্ৰীকৃষ্ণ-কর্তৃক শ্ৰীমতীর পসরা বহন । ছত্র-খণ্ডে শ্ৰীকৃষ্ণ-কর্তৃক রাধার মস্তকে ছত্র-ধারণ । বৃন্দাবন-খণ্ডে গোপীগণ সহ শ্ৰীকৃষ্ণের বন-বিলাস ও শ্রীরাধার সম্ভোগ অর্থাৎ রাস। যমুনা-খণ্ডে গোপীগণ সহ শ্রীকৃষ্ণের জল-বিহার এবং কৃষ্ণ-কর্তৃক গোপীগণের বস্ত্রহরণ। "চার-খণ্ডে হার অপহরণ জন্ত যশোদাসমীপে শ্ৰীমতীর শ্ৰীকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ । বাল-খণ্ডে পূর্ব অভিযোগের প্রতিশোধস্বরূপ শ্ৰীমতীর প্রতি শ্ৰীকৃষ্ণের মদন-বাণ ত্যাগ, রাধার মোহ, বড়াই কর্তৃক শ্রীকৃষ্ণের বন্ধন ও শ্রীমতীর সম্ভোগ । বংশী-খণ্ডে বংশীধ্বনি শ্রবণে রাধার উৎকণ্ঠ, রাধাকর্তৃক বংশ অপহরণ, কৃষ্ণের কাকুতি ও রাধার বংশী প্রতাপণ। বিরহ-খণ্ডে রাধার বিরহ, রাধা-কৃষ্ণের মিলন ও সন্তোগ, শ্ৰীমতীর শ্রান্তি ও শ্রীকৃষ্ণের মথুরা গমন । ভাষা
- সই কেবা শুনাইলে শুাম নাম’, ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাধিনু’ পদের ভূষা এবং“কে না বাঁশ বাএ বড়ারি বাণিনী নই কুলে, যে কাহ্ন লাগিতা মেী আন ন চাছিলে’ পদের ভাষা এক নহে ;–পদাবলী ও কৃষ্ণকীর্তনে’র ভাষায় সাদৃশু নাই। তবে কি পদকৰ্ত্ত চণ্ডীদাস এবং কৃষ্ণকীৰ্ত্তনের রচয়িত ছই পৃথকৃ কবি ? চণ্ডীদাসের সময়ে এবং তৎপূৰ্ব্বে বাঙ্গালী ভাষা কিরূপ ছিল, জানিতে রিলে আমাদের উত্তর অনেক সরল হইয়া আসিবে । পুরাণ বাঙ্গালা কেমন ছিল, জানিতে হইলে হস্তলিখিত প্রাচীন পুথির সাহাৰ্য লইতে