পাতা:শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-বড়ুচণ্ডীদাস.djvu/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २ ] জন্য চণ্ডীদাসের ভণিত চালাইয়া থাকিবেন। চালাইয়া থাকিবেন কেন, এরূপ জলক পদ নিশ্চয় চলিয়া গিয়াছে। কিন্তু কোন পদটি আসল চণ্ডীদাসের, আর কোটি নকল বা জাল তাঙ্ক নির্ণয় করিবার উপায় কি ? এ বিষরের আলোচনায় দুই রকম প্রমাণ আবশুক হয়—বাহিরের প্রমাণ ও ভিতরের প্রমাণ। চণ্ডীদাসের পদাবলী সঙ্কলন ব্যাপারে কোনরূপ বাহিরের প্রমাণ পাওয়া যায় না ; ভিতরের প্রমাণ ভাষা ও ভাব লইয়া। কোন একটি পদের বিচার করিতে ইষ্টলে প্রথমে দেখিতে হইবে, এই ভাষ চণ্ডীদাসের সময়ে প্রচলিত ভাষা বটে কি না এবং toচণ্ডীদাসের নিজস্ব ভাষা বটে কি না ? বসন্ত বাবুর আবিষ্কৃত কৃষ্ণ কীৰ্ত্তন গ্রন্থে একবারে প্রতিপন্থ হইয় গেল যে, চণ্ডীদাসের কোন পদই অবিকৃত নাই—এ পর্যন্ত চণ্ডীদাসের নামে যত কিছু পদ বাহির হইয়াছে, সকল পদেরই ভাষা হালের ভাষা। চণ্ডীদাসের সময়ের ভাষা—১ওঁীদাসের নিজের ভাষা—এত কাল ' অজ্ঞাত ছিল । এ পর্য্যস্ত চণ্ডীদাসের নামে যত পদ চলিয়া আসিতেছে, কোনটার ভাষাই চণ্ডীদাসের ভাষা নহে । তার পরে দেখিতে হইবে যে, এই পদের ভাব চণ্ডীদাসের যোগ্য কি ন-চণ্ডীদাসের কলম চইতে এইরূপ জিনিষ বাস্থির হইতে প৮ল্প কি না ? পাঠকের রুচিভেদ অনুসারে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় । একের মতে যাহা চণ্ডীদাসের যোগ্য, অষ্ঠের বিবেচনায় তাই হয় ত সম্পূর্ণ অযোগ্য । বর্তমান অবস্থায় কোন সম্পাদকের বিবেচনায় ভর করির কোন পদকে খারিজ করা নিরাপত নহে । আমার বিবেচনায় চণ্ডীদাসের ভণিতা দেখিলেই এখন তাং প্রকাশ করা উচিত—ভবিষ্যতে সমালোচনার সময় আসিলে –বিচার-বিতর্কের পর স্থির হইবে, কোন্‌টা আসণ, আর কোল্ট নকল। নীলরতন বাবু চণ্ডীদাসের ভণিতাযুক্ত সকল পদকেই পদাবলীমধ্যে স্থান দিয়াছেন। বিচারের ভার তিনি নিজের উপর লন নাই—সাহিত্য-সমাজের উপর কেলিয়াছেন। আমার বিবেচনায় তিনি ভালই করিয়াছেন। দ্বিতীয় বিতর্ক উঠিয়াছিল, বানান লইয়া । পদাবলীর পাঠকদের মধ্যে ईशब কেবল রসলিঙ্গ, র্তাহার কোন শব্দের বানান কিরূপ হইবে, তজ্জন্ত জাদে ব্যাকুল নছেন। কিন্তু সাহিত্য-পরিষদের প্রকাশিত গ্রন্থ কেবল কাব্যক্ষপ্রিপাস্কর জন্য প্রচারিত হয় না । এ কালে ভাষা-বিজ্ঞান নামে একটা বিজ্ঞানবিদ্যা গড়িয়া উঠিয়াছে ; সাহিত্য-পরিষৎ মুখ্যতঃ ঐ বিজ্ঞানামোদীদের মুখ