[ ని ) চাহিয়া গ্রন্থ প্রচার করেন । এই বিজ্ঞান নিতান্ত নীরস বিস্ত ৷ ইছ৷ চণ্ডীদাসের পদেরও সমুদয় রস নিংড়াইয়া ফেলিয়া কেবল তাহার ছিবড়া ভক্ষণের জন্ত লালায়িত । চণ্ডীদাসের নিকট রামী রজকিনীর প্রেম নিকৰিত হেমতুল্য ছিল কি না, ভাষা-বিজ্ঞান তাহাতে কিছুমাত্র বিচলিত নহেন ; রামীর নাম চণ্ডীদাস দীর্ঘ-ঈ-কারাস্ত, না হু স্ব-ই-কারাস্ত করিয়া লিখিতেন, তাহ স্থির ন৷ করিতে পারলে এই বিজ্ঞামের সোল্লাস্তি হয় না। রজকের স্ত্রী কত কাল হইতে সংস্কৃত ব্যাকরণের বন্ধন এড়াইয় রজ:কী হইতে রজকিনীতে পরিণত হইয়াছে, তুজ্জষ্ঠ এই বিজ্ঞানবিষ্ঠার শিরঃপীড়া ঘুচে না। সাহিত্য-পরিষৎ এই বিজ্ঞানবিস্তার ধতিরে পুরাণ পুথি পাইলেই তাহার *ঘখা দৃষ্টং তথা লিখিতং” বানান বজায় রাখিয়া ছাপিতে দেন। একাধিক পুথি পাইলে, তাহার মধ্যে একখানিকে আদর্শ পুথি ধরিয়া তাহার বানান অমুসরণ করেন, আর অন্ত পুথির বানান-ভেদ ছোট হরপে ফুটনোটে পাঠান্তরস্বরূপে প্রকাশ করেন। উদ্দেগু—এই সকল পাঠভেদ মিলাইয়া পণ্ডিতে পণ্ডিতে লড়াই চলিবে এবং সে কালে বাঙ্গাল শব্দের বানান এবং উচ্চরণ কিরূপ ছিল, তৎসম্বন্ধে একটা মীমাংসা হইবে। সাধারণ পাঠকে এই পণ্ডিতের লড়াইয়ে কৌতুক দেখে ;–ফলে এই হয় যে, পরিষদগ্রন্থাবলীভুক্ত মুদ্রিত পুস্তকের পাতা উল্টাইতে সাধারণ পাঠকের আতঙ্ক হয় ; উহা অপাঠ্য বলিয়াই পরিত্যক্ত হয় ; বহিগুলি পোকায় কাটে এবং অবশেষে কাগজের দামে বেচিতে হয় । - নীলরতন বাবুর সঙ্কলিত পদাবলীতে পরিষদের এই সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম হইয়াছিল । নীলরতন বাবু বৈজ্ঞানিকোচিত ধৈৰ্য্য রাখিয়া চণ্ডীদাসের যথাদৃষ্টং তথা লিখিতং সংস্করণ বাহির করিতে পারেন নাই বা সন্মত হন নাই । পরস্তু নিজের খেয়াসের উপর বানান সংশোধন করিয়া—এ কালের বানান ,ৰসাইরা পদাবলী ছাপাইয়াছেন। ফলে সাধারণ পাঠকের পক্ষে তাহার সঙ্কলিত পদাবলী স্বপাঠ্য ইরাছে বটে, কিন্তু ভাষাবিজ্ঞানের তত্ত্বন্ধেীর পক্ষে ঐ সংস্করণ অতি অকিঞ্চিৎকর হইয় পড়িয়াছে। এ জন্ত নীলরতন বাবু তিরস্কারের ভাগী হইয়াছেন এবং আমিও এই অপকৰ্ম্মের প্রশ্রয় দিয়াছি বলিয়৷ কিঞ্চিৎ গঞ্জন পাইয়াছি । " কিন্তু বসন্তু বাবু কর্তৃক চণ্ডীদাসের কৃষ্ণ-কীৰ্ত্তন আবিষ্কারের পর এখন দেখি
পাতা:শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-বড়ুচণ্ডীদাস.djvu/৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।