শ্ৰীকৃষ্ণকীর্তন পুথির লিপিকাল শ্ৰীযুক্ত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় গৌড়ীয় কবিগণের অগ্রণী চণ্ডীদাসের “কৃষ্ণ-কীৰ্ত্তন” নামক যে নুতন গ্রন্থ আবিষ্কার করিয়াছেন, তাহার একখানি মাত্র পুথি আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই পুথিখানিও সম্পূর্ণ নহে । গ্রন্থের প্রত্যেক খণ্ডের শেষে পুম্পিক নাই, কেবল প্রতি গান বা কবিতার শেষে ভণিতায় কবির নাম পাওঁয়া ষায় । এতদ্ব্যতীত পুথির অথব গ্রন্থকারের কাল নির্ণয় করিবার কোনও উপাদান এই নবাবিস্কৃত গ্রন্থে নাই । মধ্য এসিয়ায় আবিস্কৃত বহু তালপত্রে লিখিত প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থের কাল নির্ণয়ের জন্ত প্রত্নলিপিতত্ত্ব ( Palaeography ) ব্যবহৃত হইয়াছে, কিন্তু এখন ও পর্য্যস্ত কোন বাঙ্গালী গ্রন্থ বা পুথির কাল নির্ণয়ের জন্ত প্রত্নলিপিতত্ত্ব ব্যবহৃত হয় নাই । শ্রীযুক্ত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় কৃষ্ণ-কীৰ্ত্তনের পুথিথানি যে দন সাহিত্য-পরিষদে প্রথম গহয় আসেন, সেই দিন আমার ধারণা হইয়াtছল ষে, উহা বাঙ্গাল অক্ষরে লিখিত অদ্যাবধি আবিস্কৃত গ্রন্থসমূহের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ পুরাতন । বাঙ্গাল ভাবায় লিখিত "চৰ্য্যাচৰ্য্যবিনিশ্চয়” প্রভৃতি মহামহোপাধ্যায় ঐযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সি, আই, ই, কর্তৃক নেপালে আবিস্কৃত গ্রন্থসমূহ, রচনা-কাল হিসাবে কৃষ্ণকীৰ্ত্তন অপেক্ষা প্রাচীন। কিন্তু পূজ্যপাদ শাস্ত্রী মহাশয় উক্ত গ্রন্থসমূহের ষে পুথিগুলি আনাইয়াছেন, তাহা কৃষ্ণকীর্তন অপেক্ষা প্রাচীন কি না, সন্দেহ । কৃষ্ণকীর্তনের পুথি সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন বাঙ্গালী পুথি বলিয়া আবিষ্কৰ্ত্তার সৌজন্তে ও সাহায্যে ইতিপূৰ্ব্বে আর একবার ইহার লিপিকাল নির্ণয় করিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম ১ । উক্ত প্রবন্ধ ১৩১৮ সালে লিখিত হইয়াছিল । ইহার পরে মূল গ্রন্থের আবিষ্কৰ্ত্তার অনুগ্রহে সমস্ত পুথিখানি দীর্ঘকাল ধরিয়া পরীক্ষা করিবার স্থষোগ পাইয়াছিলাম । সেই পরীক্ষাকু ফল নিম্নে সন্নিবিষ্ট হইল । “ক্লষ্ণকীৰ্ত্তন” গ্রন্থের ষে অংশটি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাতে এক অথবা একাধিক ব্যক্তির তিন প্রকারের হস্তাক্ষর দেখিতে পাওয়া ষায় ;– ১ । প্রাচীন হস্তাক্ষর । ১ । বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা, ২২শ ভাগ, ১৪১ পূঃ ।
পাতা:শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-বড়ুচণ্ডীদাস.djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।