yo শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তন পুথির লিপিকালه ২ । প্রাচীন হস্তাক্ষরের অনুলিপি । ৩ । অপেক্ষাকৃত আধুনিক হস্তাক্ষর । আবিষ্কৰ্ত্ত স্বয়ং গ্রন্থ সম্পাদন করিতেছেন। ভরসা করি, গ্রন্থের ভিন্ন ভিন্ন হস্তাক্ষর সম্বন্ধে তিনি বিশেষভাবে আলোচনা করিবেন। প্রত্নলিপিতত্ত্বে আধুনিক লিপি অথবা প্রাচীন লিপির অনুকরণের প্রয়োজন নাই, কেবল যে সমস্ত পত্রে প্রাচীন হস্তাক্ষর দেখিতে পাওয়া যায়, সেই সমস্ত পত্রের অক্ষরাবলী পরীক্ষিত ও আলোচিত হইল । g “কৃষ্ণকীৰ্ত্তন” গ্রন্থে যে বর্ণমালা ব্যবহৃত হইয়াছে, তাঙ্গ বর্তমান অথবা খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর বর্ণমালা অপেক্ষা প্রাচীন। অনেক অক্ষরের আকার সেই অক্ষরের বর্তমান আকারের দ্যায়, কিন্তু অনেকগুলি অক্ষরে সেই বৰ্ত্তমান আকার বা আকারগত সাদৃশু দেখিতে পাওয়া যায় না ;— - ( ক ) স্বরবর্ণ ১ । অ, আ, ই, ঈ, এ, ঐ, ও, ঔ—এই আটটি স্বরে বর্তমান আকর দেখিতে পাওয়া যায়। কেবল অ ও আ অপেক্ষাকৃত প্রাচীন। এই দুইটি স্বরে অক্ষরের দক্ষিণাংশের সহিত বামাংশের যোজক অৰ্দ্ধ বৃত্তারুতি। “অঙ্গভঙ্গ” পত্র ৩, পৃষ্ঠা ২, পংক্তি ১। আপনার” পত্র ৩, পৃষ্ঠা ২, পংক্তি ৪ । পুথির যে অংশ অপেক্ষাকৃত আধুনিক, সেই অংশে এই আকার দেখিতে পাওয়া যায় না। যথা— *অনেক, পঃ ১৭৬, পৃঃ ২, পং ৬ । “অনুমতী,° পঃ ২-৪, পৃঃ ২, পং ৫ । "আসম্মতী,° পঃ ২০৫, পৃঃ ২. পং ১ । ১ । স্বরবর্ণের মধ্যে উ, উ, খ ও ৯—এই চারিটি অক্ষরের আকার প্রাচীন । "উ" এবং উ”তে কেবল উদ্ধ দিকের রেথ যোগ করিলে উহা বর্তমান আকারে পরিণত হয় । এই আকারের “উ° এবং “উ” কেন্থি,জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত গুহাবলীবিস্তুতি, পঞ্চাকার এবং যোগরত্নমালী নামক ১১৯৮, ১১৯৯ ও ১২•• খৃষ্টাব্দে বাঙ্গাল অক্ষরে লিখিত গ্রন্থত্রয়ে দেখিতে পাওয়া যায় । “খ” আকারে বহু প্রাচীন, ইহা প্রায় কেম্বুিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত যে তিনখানি গ্রন্থ পূৰ্ব্বে » ı Bühler's lndisshe Palacographie, Tafel vi, Col. X, 5-6 ; Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. III, Ploxxxviii.
পাতা:শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-বড়ুচণ্ডীদাস.djvu/৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।