|o শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তন পুথির লিপিকাল প্রত্নলিপিতত্ত্বের প্রমাণ অবলম্বনে “কৃষ্ণকীৰ্ত্তনের" লিপিকাল নির্ণয় করা আবশুক। কারণ, উক্ত গ্রন্থের যে একখানি মাত্র পুথি আৰিস্কৃত হইয়াছে, তাঙ্গ খণ্ডিত এবং ইহার পুম্পিক পাওয়া যায় নাই। এই পুথির অন্ত কোন অংশে তারিখ নাই এবং ইহাতে রচয়িতার অথবা লিপির কাল নির্ণয় করিবার অন্ত কোন উপকরণ দেখিতে পাওয়া যায় না । অতএব এই পাণ্ডুলিপির লিপিকাল নির্ণয় করিবার একমাত্র উপায় প্রত্নলিপিতত্ত্ব। “কৃষ্ণকীর্তনে”র যে পুথি আবিষ্কৃত ইয়াছে, তাহার প্রাচীন পত্রগুলিতে যে বর্ণমালা ব্যবহৃত হইয়াছে, তাহায় অধিকাংশ স্বর ও ব্যঞ্জন বর্ণের আকার আধুনিক। যে কয়েক স্থলে স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের আকার প্রাচীন, তাহ বিচার কারলে গ্রন্থের লিপিকাল নির্ণীত হইতে পারে। g স্বরবণ সাধারণ দ্বাদশটি স্বরবর্ণের মধ্যে উ, উ, ঋ ও ৯ প্রাচীন আকারের। এই চারিটি অক্ষরের বর্তমান রূপ ধারণের কাল নিশ্চিতরূপে নিৰ্দ্ধারণ করিবার উপায় অতি অল্প দিন পূৰ্ব্বে আবিষ্কৃত হইয়াছে । ১। উ। কেন্থিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রক্ষিত “গুহাবলীবিবৃতি” ও “পঞ্চাকার” নামক গ্রন্থদ্বয়ে যে আকার দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাই খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগের আকার । কারণ,এই গ্রন্থদ্বয় ১১৯৮ ও ১১৯৯ খৃষ্টাব্দে লিখিত হইয়াছিল। মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী' নেপাল হইতে শাস্তিদেবের “বোধিচর্যাবতার” গ্রন্থের একখানি তালপত্রে লিখিত পুথি এসিয়াটিক সোসাইটির জন্য সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছেন। এই পুথি ১৪৯২ বিক্রমান্সে = ১৪৩৫ খৃষ্টাব্দে বেণুগ্রামে লিখিত হইয়াছিল। এই বেণুগ্রাম সম্ভবতঃ বৰ্দ্ধমান জেলার বেণুগ্রাম বা বেড়গ্রাম। এই গ্রন্থে “উল্লার আধুনিক আকার দেখিতে পাওয়া যায়। “কোচ্ছ উচ্ছ” পংক্তি ১, পৃ. ৬৬। , , ২ । উ। “উ” র স্তায় “উ”র আধুনিক আকার সর্বপ্রথমে ১৪৯২ বিক্রমকে লিখিত বোধিচৰ্য্যাবতার গ্রন্থে দেখিতে পাওরা যায়। প্রাচীন আকারের "উ" এবং “উ”তে মাত্রীর উপরে বক্রগতি উদ্ধরেথা নাই । আধুনিক আকারে এই উদ্ধরেখা দেখিতে পাওয়া যায়। “উইল ৭১২।
পাতা:শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-বড়ুচণ্ডীদাস.djvu/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।