পাতা:শ্রীকৃষ্ণভাবনামৃতম্‌.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐনন্দালয়-গমন । , ༢se, সপদি সবয়সেতি বোধ্যমান। লঘু লঘু গন্তুমিয়েস সা তদগ্রে ॥ ৪১ কিমিদমিতি"পরম্পরবিলোকেচ্ছলিত মহামধুরিম্বি ষত্তয়ে স্তাঃ। ততশ্চ ললিতা আহ । হে সখি ! গুরু-পরবশত এব দোষ দূরীকরণে পটুঃ তব হিয়া শুিধু বা কিং প্রয়োজনমিতি । সপদি তৎক্ষণং সবয়সী ললিতয়া প্ৰবোধ্যমান সা রাধা লঘু লঘু যথা স্তাত্তথা তন্ত শ্ৰীকৃষ্ণস্তাগ্রে গম্ভং ইয়েৰ ইচ্ছাং কৃতবর্তী। ইয়ু ইচ্ছায়াং ধাতু ॥৪১ ৷ - সখি! ব্রজরাজ-ভবনে যাইবার আর কোন পথ নাই কি ? উস্থার সম্মুখ দিয়া যাইতে আমার আদৌ পা সরিতেছে না,আমি করি কি ? যদি অস্ত্যপথ থাকে তবে সেই পথেই লইয়া চল ॥৪০ ঐরাধার উদ্বেগ-সমাকুল মুখখানি দেখিয়া চতুর ললিত তাহার হৃদয়ের সেই গুঢ় ভাব সহজেই বুঝিয়া লইলেন, তথাপি হাসিতে হাসিতে আশ্বাসপূর্ণ বাক্যে কহিলেন—“প্রিয়সখি ! লম্পটের সম্মুখ, দিয়.যাইতে হইবে বলিয়া ভয়ে তোমার অঙ্গ-লতিকা কণ্টকিত ও কম্পিত হইতেছে এবং তোমার কমলায়ত নয়ন-কোণেও প্রশ্ন কণা ফুটিয়া উঠিয়াছে দেখিতেছি । ভয় কি সখি ! গুরু-পরবশতাই তোমার সকল দোষ বিদূরিত করিয়া দিবে। সুতরাং শঙ্কশরমে কেন অনর্থক অভিভূত হইতেই ? গুরুজন যখন তোমাকে যাইতে অনুজ্ঞা করিয়াছেন তখন শ্রীকৃষ্ণের সম্মুখ দিয়া যাইতেই বা তোমার দোষ কি ? বরং ন যাইলে গুরুজনের আজ্ঞা-লঙ্ঘন হেতু প্রত্যবায়ের আশঙ্কা আছে । অতএব চুল সখি ! এই পপেই চল।” ললিতার রহস্য-গর্ভ আশ্বাস-বাক্যে শ্রীরাধী যেন কতক আশ্বস্ত হইলেন । মনে মনে ললিতায় বুদ্ধি-বৃত্তির প্রশংসা, করিয়া সানন্দ-চিত্তে শ্ৰীকৃষ্ণের সম্মুখবর্তি-পথেই ধীরে ধীরে অগ্রসর হইলেন ॥৪১u $ -- હર્