পাতা:শ্রীকৃষ্ণভাবনামৃতম্‌.pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిన్ళీు শ্ৰীকৃষ্ণভাবনামৃতম্। নয় বল্লব ! মাং বলাদিতে নিজনপ্ত মুখপঙ্কজামূতৈঃ। শিশিরী করবাণি লোচনে যদ্দূতে জীবিতুমেব নোৎসহে ॥২৮ রচয় নিমিষং বিশারদে ! জরতী-বঞ্চকমঞ্চকং মুদাং । নিভৃতেন পথা ভজে বনে প্রিয় সঙ্কেতিত কুঞ্জমন্দিরং ॥২৯ শিষাং পটলৈরেবং শান্তিপ্তচাভি মন্ত্রিতৈঃ পৃষতৈ: বিন্দুভিশ্চ করণৈঃ হরিং অভিষিঞ্চত ॥২৭ পিতামহস্ত পর্যন্তস্তাভিপ্রেতমাহ । হে বল্লব ! গোপ ! যং নেত্র-শিশিল্পীকরণং বিনা জীবিতুমেব নোংসহে ॥২৮ প্রিয়াগণানামভিপ্রেতমাহ । হে বিশারদে ! আলি ! জরতীবঞ্চকং অথচ মুদামঞ্চকং প্রাপকং মিষাচ্ছলং রচয়। অহং নিভৃতেন পথ বন মধ্যে প্রিয়সঙ্কেতিত কুঞ্জমন্দিরং ভজে ॥২৯ বারিবিন্দু-নিচয় দ্বারা সর্বাগ্রে ব্ৰজপুর ভূষণ শ্ৰীকৃষ্ণের অভিষেক সম্পাদন করিয়া আশু শান্তি-সুখ লাভ কর ॥২৭ আবার “শ্ৰীকৃষ্ণ বন গমন করিতেছেন” এই শব্দে শ্রীকৃষ্ণের পিতামহ বৃদ্ধ পর্জন্তগোপের পরিচারক স্বীয় প্রভুর অভিপ্রায় এইরূপ বুঝিলেন—“ওহে বল্লব ! আমাকে এখান হইতে শীঘ্ৰ ধরিয়া লইয়া চল, আমার নাতি কৃষ্ণচন্দ্রের মুখকমলামৃতে আমি নয়নযুগল সুশীতল করিব । যেহেতু কৃষ্ণ-মুখ দর্শনে নয়ন শীতল না করিলে আমি কদাচ জীবিত থাকিতে পারিব না ॥২৮॥ of ” পুনশ্চ উত্ত বনগমন শব্দে তখন পুরবাসিনী প্রেয়সীবৃন্দের সখীগণ এইরূপ অর্থবোধ করিলেন—“হে বিশারদে ! হে সখি ! প্রিয়সম্মিলনের কণ্টকস্বরূপ জরতীকে অনায়াসে বঞ্চনা করা যাইতে পারে—অথচ অপার আনন্দপ্রদ এমন এক অপূর্ব ছলনা- tল বিস্তার কর, যাহাতে আমি নিভৃতপথে বৃন্দাবনে গিয়া প্রিয়-সঙ্কেতিত কুঞ্জমমির প্রাপ্ত হইতে পারি” ॥২৯