পাতা:শ্রীকৃষ্ণভাবনামৃতম্‌.pdf/৮১

প্রভাতলীলা । S4 তদা নিরোধী সহ রোমহর্ষ-ম্বেদন্ধুিবর্ষ স্তিমিতাঙ্গযষ্ট্রেঃ । ব্যক্তং হরে রুদ্ভিদুর-স্মিতাস্ত-পিধানচাতুর্য্য মপাস্তমাসীৎ |৪৮৷ ਵੈਸੇ পরীহ্ৰাসবাণীং শ্রী হ নিরোধং ন সহস্তে যে রোমহর্ষাদয় স্তৈ স্তিমিতং অজং যন্ত এবস্তৃত্বস্ত হরে উদ্বোধনশীলং স্মিত্তং যত্র এবস্তৃতাস্ত পিথানে কৃতং বং চাতুৰ্য্যং তং ব্যক্তং সং অপাস্তমানীং ৪৮। যোগসিদ্ধিটা যেন কিছু বেশী বোধ হইতেছে । ঐ দেখ, সখি ! ঐরাধার হৃদম্বরে অর্থাৎ হৃদয়াকাশে স্বানন্দানুভূতি, কেমন অজ্ঞানতম-নাশিনী ইন্দুলেখার স্যায় উজ্জ্বলরুপে দীপ্তি পাইতেছে, ইহাতে যেন উহার পুনর্ভব-ক্ষত অর্থাং পুনর্জন্মযাতনা ও মনোভবোত্তাপ’ অর্থাৎ মনের সন্তাপ প্রশমিত হইয়াছে, তাহ স্পষ্ট বুঝা যাইতেছে।” প্রক্ষান্তরে বিশাখ শ্লেষ-ব্যঞ্জক বাক্যে কহিলেন—”সখি ! ঐ দেখ, স্ত্রীরাধার হৃদম্বরে অর্থাৎ বক্ষঃস্থিত বসনের অবকাশ দিয়া চন্দ্রকলার স্যায় সন্তোগচিহ্নসকল কেমন শোভা পাইতেছে দেখ, উহাতেই ঐরাধার আনন্দের উপলব্ধি হইতেছে এবং উহা দ্বারা পুনর্ভবক্ষত অর্থাৎ নখক্ষত ও মনোভবোত্তাপ অর্থাৎ কন্দপ-জ্বালার শান্তি হইয়াছে কিনা বুঝিয়াই দেখ না ॥৪৭ 鸚 পরীহাস-রসিকা সখিগণের এইরূপ সরস মধুরালাপ শ্রবণ করিতে করিতে প্রেমময়ের প্রেম-সিন্ধু উছলিয়া উঠিল—তিনি হৃদয়ের সেই বিপুল আনন্দ-প্রবাহ চাপিয়া রাখিতে পুনঃপুনঃ চেষ্টা করিয়াও পারিলেন না—তাহার অঙ্গযষ্টি স্বেদস্তু-বর্ষণে স্তিমিত ও পুলকাকুল হইয়া উঠিল । অন্তরে অন্তরে উল্লাস-তরঙ্গে হাসির উৎস থেলিতেছে— কপট নিদ্রাদেশে তাহ। চাপিয়া রাখিবার জন্ত যতই চাতুরী প্রকাশ করিতে লাগিলেন ততই ব্যর্থ হইয়া যাইতে লাগিল । শেষে হাসির অবধি-উৎস খুলিয়া দিলেন ॥৪৮ જે