পাতা:শ্রীকৃষ্ণভাবনামৃতম্‌.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাত-লীলা । . فيبيا নিৰ্ব্বেদপদ্ধতিমপীপঠদেব পূৰ্ব্বং যোগোহধুনা তু সরলে ভবতীং বিয়োগঃ। আদ্যোচু্যতামৃতমদর্শয়দৰ্থমস্যা - অন্যোহনুভৰিয়তি হী কছুকালকূটম্ ॥ ৭১ ৷ ললিত প্রত্যুত্তরমাহ । পুর্বরাত্রেী যোগঃ সন্তোগং ত্বাং নিৰ্ব্বেদপদ্ধতিং ধৰ্ম্মেল্লঙ্ঘনং বেদরহিতাং বীর্থীং অপপঠং পাঠয়ামাস। অধুনা তু হে সরলে রাধে। বিয়োগে৷ বিপ্ৰলন্তঃ নিৰ্ব্বেদপদ্ধতিং মম শ্রুতিং নেত্ৰং ধিগিত্যাকার কাত্মধিক্কার- * পদ্ধতিং ভবতীং অপৗপঠ২,তয়োমধ্যে আছে যোগঃ অস্তঃ নিৰ্ব্বেদং পদ্ধতে শ্ৰীকৃষ্ণস্বরূপান্তমৃতস্বরূপং অর্থং আদর্শরৎ, অন্তে বিয়োগ; তস্তাঃ পদ্ধতেরর্থং কালকূটং বিষং আদর্শয়ং । বিপ্ৰলন্তস্ত কালকূটবদেব পীড়কত্বাং । পক্ষে যোগে অষ্টাঙ্গঃ নিৰ্ব্বেদ-পদ্ধতিং বেদবৈমুখ্যপদ্ধতিং । অষ্টাঙ্গযোগপক্ষে চুক্তিরহিতং মোক্ষং অদশয়ং। যোগভ্রংশপক্ষে কালকূটং মৃত্যুসমূহং। “কালে দণ্ডধর’ ইত্যমর li৭৯৷৷ সুধার কণামাত্রও আস্বাদন করিতে পাইল না, হায় ! আবার যখন তাহার বচনাযুতের একটা কণিকারও আস্বাদ পাইবার সুযোগ ঘটিল না, তখন এমন শ্রবণেও শত ধিক ”। ৭৮ ৷৷ প্রেমময়ীর এই অপূর্ব আক্ষেপোক্তি শ্রবণ করিয়া সখীগণ বাস্তবিকই বিস্ময়-বিমুগ্ধ হইলেন। তখন ললিতা শ্রীরাধার সেই ভ্রান্তি দূর করিবার জন্য হাসিতে হাসিতে কহিলেন—“সরলে এত শীঘ্র রজনী-বিলাসের কথা ভুলিয়া গেলে ? অদ্য রজনীতে প্রথমতঃ যোগ অর্থাৎ খ্ৰীকৃষ্ণ-সহ সঞ্জেগ তোমাকে নিৰ্ব্বেদপদ্ধতি অর্থাৎ ধৰ্ম্ম-উল্পজানজন্য বেদ-বিরহিতপদ্ধতি পাঠ করাইয়াছে, সুতরাং তুমি সে সময় শ্ৰীকৃষ্ণের রূপ-রস-বচনামৃত প্রাণ ভরিয়া পান করিয়া প্রেমানন্দে বিভোর হইয়াছ, সম্প্রতি বিয়োগ বা বিপ্ৰলন্ত আবার তোমাকে এই নিৰ্ব্বেদপদ্ধতি অর্থাৎ আত্মধিকারপদ্ধতি পাঠ করাইতেছে, এই জন্তই তুমি প্রাণে প্রাণে বিরহের মৰ্ম্মস্থা বিবাহ অনুভব করিয়া ব্যথিত হইতেছ। ফলতঃ অষ্টাঙ্গযোগ যেমন সাধকদিগকে নিৰ্ব্বেদপদ্ধতি অর্থাৎ আত্মধিক্কার পদ্ধতি বা বৈরাগ্য শিক্ষা দেয় ও শেষে জচ্যুতানন্দ