পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Selz শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । মায়শ্রিতস্য জীবস্য হৃদয়ে কৃষ্ণভাবন । কেবলং কৃপয়া তস্য নান্যথা হি কদাচন ॥ ১৫ ॥ শ্ৰীকৃষ্ণচরিতং সাক্ষাৎ সমাধি দর্শিতং কিল । ন তত্র কল্পনা মিথ্যা নেতিহাসো জড়াশ্রিতঃ ॥ ১৬ ৷ বয়ন্তু চরিতং তস্য বর্ণয়ামো সমাসতঃ । তত্ত্বতঃ কৃপয়া কৃষ্ণচৈতন্যস্য মহাত্মনঃ ॥ ১৭ ॥ সৰ্ব্বেষামবতারাণামর্থোবোধ্যোযথা ময়া । কেবলং কৃষ্ণতত্ত্বস্য চার্থেবিজ্ঞাপিতোহধুনা । ১৮ ॥ জীবের পক্ষেও কৃষ্ণসাক্ষাৎকার অত্যন্ত দুরূহ। কেবল কৃষ্ণকৃপা বশতই সমাধিযোগে ভগবৎসাক্ষাৎকার জীবের পক্ষে স্থলভ হইয়াছে। ১৫ । নিৰ্ম্মল কৃষ্ণুচরিত্র ব্যাসাদি সারগ্রাহী জনগণের সমাধিতে পরিদৃষ্ঠ হইয়াছে। জড়াশ্রিত মানবচরিত্রের ন্যায় উহা ঐতিহাসিক নয় অর্থাৎ কোন দেশে বা কালে পরিচ্ছেদ্যরূপে লক্ষিত হয় নাই। অথবা নরচরিত্র হইতে কোন কোন ঘটনা সংযোগপূর্বক উহা কল্পিত হয় নাই । ১৬ । আমরা কৃষ্ণচরিত্রট, শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্যের কৃপাবলে তত্ত্ব-বিচার পূৰ্ব্বক সংক্ষেপত: বর্ণন করিব। ১৭। সম্প্রতি এই গ্রন্থে যেরূপ কৃষ্ণতত্ত্বের তাৎপৰ্য্য বিজ্ঞাপিত হইবে, অন্যান্য অবতার সকলের অর্থও তদ্রুপ বুঝিতে হইবে। ইহার মধ্যে বিচার এই যে, শ্ৰীকৃষ্ণ সকল অবতারের বীজস্বরূপ মূল তত্ত্ব, তিনি জীবশক্তিগত পরমাত্মা রূপে জীবাত্মার সহিত নিয়ত ক্রীড়া করেন । জীবাত্মা কৰ্ম্মমার্গে ভ্রমণ করিতে করিতে যে যে অবস্থা প্রাপ্ত হন, সেই সেই অবস্থায় পরমাত্মা তত্তস্তাবগত হইয়া জীবের বিজ্ঞানবিভাগে লীলা করেন । কিন্তু যে পর্য্যস্ত চিদ্বিলাসরতি জীবের হৃদয়ে উদিত না হয়, সে পৰ্য্যস্ত শ্রীকৃষ্ণের স্বকীয়াবির্ভাব হয় না । অতএব অন্য সকল অবতার পরমপুরুষ পরমাত্মা হইতে নিঃস্থত হয়, কিন্তু উৎকৃষ্ণতত্ত্ব ঐ পরমপুরুষের বীজস্বরূপ । ( দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২২২৩ শ্লোক দৃষ্টি করুন ) । ১৮ । সারসম্পন্ন বৈষ্ণব সকল আমার বাক্যমল পরিণ