পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । প্রপঞ্চবদ্ধজীবানাং বৈধধৰ্ম্মাশ্রয়াৎ পুরা । অধুনা কৃষ্ণসংপ্রাপ্তে পারকীয়রসাশ্রয়ঃ ॥ ১০ দিগেল মিনদাভিয়ে উত্তমাধিকারীরা কখনই ত্যাগ করিতে পারেন না । এতদ গ্রন্থ কোমল শ্রদ্ধদিগের জন্য রচিত না হওয়ায় বৈধধৰ্ম্মের কোন বিস্তুতি করা গেল না । শ্ৰীহরিভক্তিবিলাস প্রভৃতি গ্রন্থে বৈধ বিধান সকল অন্বেষণ করিতে হইবে। বৈধ বিধানের মূল তাৎপৰ্য্য এই যে, সংকীলে বদ্ধজীবদিগের আত্মার নিত্য ধৰ্ম্মরূপ রাগ নিদ্রিতপ্রায় থাকে অথ ব৷ বিকৃত ভালে বিষয় রাগরূপে পরিণত থাকে, তখন আত্মবিদ্বৈদ্যগুণ ঐ রোগ দাবী করণ জন্য মে সকল বিধান করেন তাঙ্গই বিধিমাৰ্গ । সংসার ভ্রমণ করিতে করিতে যে মহাপুরুষ সে কার্য্যের দ্বারা স্বীয় সুপ্ত প্রায় রাগের উদয় করিতে সক্ষম হইয়াছেন, তিনি জীবদিগের প্রতি স্বাভাবিক দয়াপূৰ্ব্বক ঐ কাৰ্য্য বা ঘটনাটকে পরমার্থ সাধনের উপায় স্বরূপ বর্ণন করিয়া একটা একটা বিধির ব্যবস্থা করিয়াছেন। ঐ সকল মহাপুরুষদিগের বিধি সকল শাস্ত্রাজ্ঞারূপে কোমল শ্রদ্ধ মহাশয়গণের নিতান্ত অবলম্বনীয় । বিপিকৰ্ত্ত ঋষিগণ উত্তমাধিকারী ও সারগ্রাহী ছিলেন । সে সকল লোকের স্বয়ং বিচার করিয়া রাগোৎপত্তির উপায় উদ্ভাবন করিতে না পারেন, তাহদের পক্ষে বিধিমার্গ ব্যতীত আর গতি নাই । ঐভাগবতে শ্রবণ কীৰ্ত্তনাদি নয়ট বিভাগে উক্ত বিধি সকল সংগৃহীত হইয়াছে । ভক্তিরসামৃতসিন্ধু গ্রন্থে ঐ সকল বিধির তুঃষষ্টি অঙ্গ ভিন্ন ভিন্ন করিয়া আলোচিত হইয়াছে। ফল কথা র্যাহীদের স্বাভাবিক রাগ অনুদিতপ্রায় আছে, তাহারা বিধিমার্গের অধিকারী কিন্তু রাণতত্ত্বের ভাবোদয় হইলেই বিধিমার্গের অধিকার নিরস্ত হয় । যে কোন বিধির আশ্রয়ে কৃষ্ণানুশীলন দ্বারা যে পুরুষের রাগোদয় হয়, সেই বিধি সেই পুরুষ কর্তৃক রাগাবির্ভাবের পরেও কৃতজ্ঞতা সহকারে ও অপর লোকে অনুকরণ করিয়া চরিতার্থ হইবে, এরূপ আশয়ে অনেকদিন পর্য্যন্ত সেবিত হয় । যাহা হউক, সারগ্রাম্বী মহাত্মারা সমস্ত বিধি অবলম্বন বা পরিত্যাগ করিতে অধিকার রাখেন । ১০ । উপাসনাপৰ্ব্বে, রাগ তত্ত্বকে অবস্থাক্রমে তিন ভাগে

3. 切