পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশমোহধ্যায়: । డి (సి অধিকারবিচারেণ গুণদোষে বিবিচ্যতে | ত্যজন্তি সততং বাদান শুষ্কতকর্ণননাত্মকান ॥ ৩ ॥ নরস্বভাব এবং সামান্যবৈধ স্বভাব হইতে স্বাধীন রাগাত্মক স্বভাব পৰ্য্যন্ত অনেক অধিকার লক্ষিত হয়। র্যাহার অধিকারে যাহা কর্তব্য তাহাই তাহার পক্ষে গুণ এবং র্যাহার অধিকারে যাহা অকৰ্ত্তব্য, তাহাই র্তাহার পক্ষে দোষ । এই বিধি অনুসারে সমস্ত কাৰ্য্য বিচারিত হইলে স্বতন্ত্ররূপে গুণদোষের সংখ্যা করিবার প্রয়োজন কি ? অধিকারবিচারে যাহা এক ব্যক্তির পুণ্য তাহ অন্য ব্যক্তির পাপ। শৃগাল কুকুরের পক্ষে চৌর্য্য ও ছাগের পক্ষে অবৈধ মৈথুন কি পাপ হইতে পারে ? মানবের পক্ষে অবশু তাহ পাপ বলিয়া গণ্য হয় । বিষয়রাগাক্রান্ত পুরুষের পক্ষে বিবাহিত স্ত্রীসঙ্গ কর্তব্য ও পুণ্যজনক । কিন্তু যাহার সংসাররাগ পূর্ণরূপে পরমেশ্বরে অর্পিত হইয়াছে; তাহার পক্ষে এক পত্নীপ্রেমও নিষিদ্ধাচার, কেননা বহুভাগ্যোদয়ে যে পরম প্রীতির উদয় হইয়াছে, তাহাকে বিষয়প্রীতিরূপে পর্য্যবসান করা অবনতির কাৰ্য্য বলিতে হইবে । পক্ষান্তরে, অত্যন্ত পশুভাবাপন্ন পুরুষের পক্ষে এক বিবাহ দূরে থাকুক, বিবাহবিধিদ্বার স্ত্রীসংসর্গ স্বীকার করাই পুণ্য। অপিচ উপাসনাপর্বে প্রথম ঈশ্বরসাম্মুখ্য হইতে আরম্ভ হইয়া ব্রজভাবের উদয় পৰ্য্যন্ত তমোগুণ হইতে সত্ত্বগুণাবধি সগুণ ও তদনন্তর নিগুণ এইরূপ সাধকের স্বভাব, জ্ঞানোন্নতি ও বৈকুণ্ঠপ্রবৃত্তির কৈবল্যামুসারে অসংখ্য অধিকার লক্ষিত হয়। ঐ সকুল ভিন্ন ভিন্নাধিকারে কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখা যায়। এই সমস্ত বিষয়ের উদtহরণপ্রয়োগদ্বারা গ্রন্থ বৃদ্ধি করার আবগুক নাই, যেহেতু বিচারক স্বয়ং এ সকল স্থির করিয়া লইতে পারেন। পাপ পুণ্য, ধৰ্ম্ম অধৰ্ম্ম, নিবৃত্তি প্রবৃত্তি, স্বর্গ নরক, বিদ্যা ও অজ্ঞান ইত্যাদি যত প্রকার দ্বন্দ্বভাব আছে; এ সমুদায়ই বিকৃতরাগ পুরুষদিগের বাদ মাত্র, বাস্তবিক স্বরূপতঃ ইহার কেহ দোষ গুণ নয়। সাম্বন্ধিকভাবে ইহাদিগকে গুণদোষ বলিয়া আমরা ব্যাখ্যা করি । স্বতন্ত্ররূপে বিচার করিলে স্বরূপতঃ আত্মরাগের বিকারই দোষ ও আত্মরাগের স্বরূপাবস্থিতিই গুণ। যে কাৰ্য্য যখন গুণের পোষক হয়, তখন তাহাই গুণ ও যে কাৰ্য্য যখন দোষের পোষক হয়, তখন তাহাই দোষ বলিয়া সারগ্রাহীগণ স্থির করেন। তাহারা অনাত্মক শুষ্ক তকে ও পক্ষাশ্রিত বাদ সকলে সন্মত হন না । ৩ । প্রীতির পুষ্টিই জীবনের একমাত্র উদ্দেশু ইহা জ্ঞাত হইয়া কৃষ্ণভক্তগণ সম্প্রদায়