পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। শ্ৰীকৃষ্ণুসংহিতার মূল তাৎপৰ্য্য ও এই গ্রন্থ প্রণয়নের আবখ্যকতা উপক্রমণিকায় প্রদর্শিত হইয়াছে। সংহিতার মধ্যে স্থানে স্থানে শ্লোকানুক্রমে সকল তত্ত্বই বিচারিত হইয়াছে, কিন্তু আধুনিক পণ্ডিতগণ যে প্রণালীতে তত্ত্ব বিচার করিয়া থাকেন এই গ্রন্থে ঐ প্রণালী অবলম্বিত হয় নাই ; অতএব অনেকেই শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতাকে প্রাচীন প্রিয় গ্রন্থ বলিয়া পরিত্যাগ করিবেন, এরূপ আশঙ্কা হয়। আমার পক্ষে উভয় সঙ্কট। যদি আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া শ্লোকগুলি রচনা করিতাম, তাহা হইলে পুরাতন পণ্ডিতেরা অনাদর করিতেন সন্দেহ নাই। এজন্য মূল গ্রন্থখানি পুরাতন প্রণালীমতে রচনা করিয়া উপক্রমণিকা ও উপসংহার আধুনিক পদ্ধতিমতে প্রণয়ন করত উভয় শ্রেণী লোকের সন্তোষ উৎপত্তি করিতে কৃতসংকল্প হইয়াছি। এজন্য পোনরুক্তি দোষ অনেকস্থলে স্বীকার করিতে বাধ্য হইলাম। এই উপসংহারে সংক্ষেপতঃ সমুদায় তত্ত্ব বিচার করিতেছি । সারগ্রাহী-বৈষ্ণবধৰ্ম্মই আত্মার নিত্যধৰ্ম্ম । কোন ব্যক্তি বা সম্প্রদায় কর্তৃক ইহা নিৰ্ম্মিত হয় নাই" । কালক্রমে এই নিত্যধৰ্ম্মের নিৰ্ম্মলতা বোধ হইতেছে, ইহাতে

  • সংহিতার সপ্তম অধ্যায়ের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ প্লেীক ও টীকা আলোচন করুন ।