পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। >\bs সন্দেহ কি ? ঐ নিৰ্ম্মলতার উন্নতি বিষয়নিষ্ঠ নহে, কিন্তু বিচারকনিষ্ঠ। সূৰ্য্য সর্বদা সমভাব, কিন্তু দর্শকদিগের অবস্থাক্রমে মধ্যাহ্বকালে সূৰ্য্যকে অধিক উত্তাপদায়ক বলিয়া বোধ হয়। তদ্রুপ নিৰ্ম্মল নিত্যধৰ্ম্ম মানবগণের উন্নত অবস্থায় অধিকতর উন্নতি প্রাপ্ত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়, বাস্তবিক নিত্যধৰ্ম্ম সৰ্ব্বকালেই সমান অবস্থায় থাকে। সেই নিৰ্ম্মল নিত্যধৰ্ম্মের তত্ত্ববিচার করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। সারগ্রাহী চূড়ামণি শ্ৰীশ্রীচৈতন্য প্রভু কহিয়াছেন যে, “ সম্প্রতি মানববৃন্দ বদ্ধভাবাপন্ন হওয়ায় নিত্যধৰ্ম্মকে সম্বন্ধ, অভিধেয় ও প্রয়োজন এই তিনটী ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ক্রমে বিচার করিতে বাধ্য আছেন।” প্রভুর উপদেশক্রমে আমরা সম্বন্ধ, অভিধেয় ও প্রয়োজন এই তিনটী বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন আলোচনা করিব । প্রথমে সম্বন্ধবিচার। বিচারক স্বীয় আত্মাকে তাদেী লক্ষ্য করিয়া দেখিবেন । স্বীয় আত্মার অস্তিত্ত্ব হইতে বিযয় ও বস্তৃন্তরের অস্তিত্ত্ব সিদ্ধ হয়। বিচারক বলিতে পারেন যে, যদি আমি নাই তবে আর কিছুই নাই; যেহেতু আমার অভাবে অন্যের প্রতীতি কিরূপে সম্ভব হইত। আত্মপ্রত্যয় বৃদ্ভিদ্বারা বিচারক স্বীয় অস্তিত্ত্ব সংস্থাপন করত প্রথমেই স্বীয় আত্মার ক্ষুদ্রতা ও পরাধীনতা লক্ষ্য করেন। স্বীয় আত্মার প্রতি প্রথম দৃষ্টিপাত মাত্রই কোন বৃহদাত্মার সহায়তা পরিলক্ষিত হয় । আত্মা ও পরমাত্মার অবস্থানবোধটা আত্মপ্রত্যয়বৃত্তির প্রথম কাৰ্য্য বলিয়া বুঝিতে