পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । والمراج রাগরূপে আমাদের অমঙ্গল সমৃদ্ধি করিতেছে। এস্থলে আমাদের স্বধৰ্ম্মালোচনই একমাত্র প্রয়োজন। যে পৰ্য্যন্ত আমরা বদ্ধাবস্থায় আছি সে পৰ্য্যন্ত আমাদের স্বধৰ্ম্মালোচন বিশুদ্ধ হইতে পারে না। আমাদের স্বধৰ্ম্মবৃত্তি লুপ্ত হয় নাই, লুপ্ত হইতেও পারে না, কেবল স্থপ্তভাবে গুপ্ত হইয়া রহিয়াছে। অনুশীলন করিলেই তাহার স্বপ্তিভাবটী দূর হইবে এবং পুনরায় জাজ্বল্যমান হইয়া উঠিবে। তখন মুক্তি ও বৈকুণ্ঠপ্রাপ্তি কাজে কাজেই ঘটবে। মুক্তি যখন সাধ্য নয়, তখন তাহা অামাদের প্রয়োজন নয় | প্রীতি অামাদের সাধ্য, অতএব প্রীতিই আমাদের প্রয়োজন। জ্ঞানমাগাশ্রিত পুরুষেরা সংসারযন্ত্রণায় ব্যস্ত হইয়া মুক্তির অনুসন্ধান করেন । ফলতঃ অসাধ্য বিষয়ের সাধন বিফল হইয়া উঠে এবং সাধকেরও মঙ্গল হয় না। প্রীতি-সাধকদিগের পক্ষে সম্পূর্ণ জ্ঞানলাভ ও মুক্তিলাভ অনায়াসেই ঘটিয়া থাকে। অতএব প্রীতিই একমাত্র প্রয়োজন । মৎকৃত দত্তকৌস্তুভ গ্রন্থে প্রীতির লক্ষণ এইরূপ লিখিত হইয়াছে – আকৰ্ষসন্নিধেী লোহঃ প্রবৃত্তো দৃশুতে যথা । অণের্মহতি চৈতন্তে প্রবৃত্তিঃ প্রীতিলক্ষণং ॥ অয়স্কান্ত প্রস্তরের প্রতি লৌহ যেরূপ স্বভাবতঃ প্রবৃত্ত হয়, অর্থাৎ আকৰ্ষিত হয়, তদ্রুপ অণুচৈতন্য জীবের বৃহচৈতন্য পরমেশ্বরের প্রতি একটি স্বাভাবিকী প্রবৃত্তি আছে, তাহার নাম প্রীতি। আত্মা ও পরমাত্মা যেরূপ মায়িক