পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

う為や শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । করিয়া, সৰ্ব্বত্র সমবুদ্ধি ও সৰ্ব্বভূতহিতে রত হইয়া উপসনা করেন অর্থাৎ জ্ঞানমার্গে ব্ৰহ্মানুসন্ধান করেন, র্তাহারাও সবৈবশ্বৰ্য্যপূর্ণ ভগবানকেই অবশেষে প্রাপ্ত হন। অব্যক্তাসক্ত চিত্ত হওয়ায় তাহাদের জ্ঞানমার্গে অধিক ক্লেশ হইয়া থাকে, কেননা শরীরী বদ্ধ জীবগণের পক্ষে অব্যক্তাদিগতি, দুঃখজনক হয়। এই শ্লোকত্রয়ের মূল তাৎপৰ্য্য এই যে ব্রহ্মজ্ঞানামুশীলন দ্বারা জীবের জড়বুদ্ধি দূর হইলে, পরে সাধুসঙ্গ ও ভগবৎ কৃপাবলে চিদগত বিশেষ নির্দিষ্ট ভগবতত্ত্ব লাভ হয়। জড়জগতের ভাব সকল নরসমাধিকে এত দূর দূষিত করে, যে অহঙ্কার হইতে পঞ্চ স্থলভূত পৰ্য্যন্ত প্রকৃতিকে দূরীভূত করিয়া সমাধির প্রথমাবস্থায় নির্বিশেষ ব্ৰহ্মকে লক্ষ্য করা আবশ্ব্যক হয়। কিন্তু যখন আত্মা জড়যন্ত্রণ হইতে ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ লাভ করেন, তখন কিয়ৎকালের মধ্যে স্থিরবুদ্ধি হইয়া সমাধিচক্ষে বৈকুণ্ঠস্থ বিশেষ দেখিতে পান । তখন আর অনিৰ্দেশ্ব ব্রহ্ম, দর্শনশক্তিকে আচ্ছাদন করেন না । ক্রমশঃ বৈকুণ্ঠের সৌন্দর্য্য প্রকাশিত হইয়। আধ্যাত্মিক নয়নকে পরিতৃপ্ত করে । এই স্থলে ব্রহ্মজ্ঞানটী ভগবৎ-জ্ঞান হইয়া পড়ে। ভগবৎ-জ্ঞানোদয় হইলে, তন্দ্ৰহস্য পর্য্যন্ত পরম লাভ সংঘটন হয় । অতএব পরমার্থ প্রাপ্তির সাধকরূপ জ্ঞান, অভিধেয় তত্ত্বের অন্তর্গত বলিয়া নির্দিষ্ট আছে । ভগবৎ-জ্ঞানালোচনা করিলে প্রয়োজনরূপ বিশুদ্ধ প্রীতির নিদ্রাভঙ্গ হইবার বিশেষ সম্ভাবনা আছে ।