পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ ०२ শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা বলিয়া স্বীকার করা যায়। আত্মগত পঞ্চবিধ রস মধ্যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট রসগুলির অাশ্রয় বলিয়া ভক্তিতত্ত্বে ও প্রীতিতত্ত্বে শ্ৰীকৃষ্ণস্বরূপের সর্বোৎকর্ষত মানা যায়। সংহিতায় এবিষয় বিশেষরূপে কথিত হইয়াছে । গাঢ়রূপে বিচার করিলে স্থির হয় যে, ভগবানই একমাত্র আলোচ্য। অদ্বয় তত্ত্ব নিরুপণে পরমার্থের তিনটী স্বরূপ বিচাৰ্য্য হইয়া উঠে, তথা ভাগবতে ;– বদন্তি তত্তত্ত্ববিদস্তত্ত্বং যজজ্ঞানমস্বয়ং ] ব্রহ্মেতি, পরমাত্মেতি, ভগবানিতি শবদ্যতে ॥ আদৌ ব্যতিরেক চিন্তাক্রমে মায়াতীত ব্রহ্ম প্রতীত হন । ব্রহ্মের অন্বয় স্বরূপ লক্ষিত হয় না, কেবল ব্যতিরেক স্বরূপট জ্ঞানের বিষয় হইয়া উঠে । জ্ঞানলাভই ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসার অবধি | জ্ঞানের আসাদনাবস্থা ব্রহ্মে উদয় হয় না, যেহেতু তত্তত্ত্বে আস্বদিক আস্বাদ্যের পার্থক্য নাই। দ্বিতীয়তঃ, আত্মাকে অবলম্বন করিয়া অন্বয় ব্যতিরেক উভয় ভাবের মিশ্রতা সহকারে পরমাত্মা লক্ষিত হন। যদিও পৃথকৃতার আভাস উহাতে পাওয়া যায়, তথাপি সম্পূর্ণ অস্বয় স্বরূপাভাবে, পরমাত্ম তত্ত্ব কেবল কূটসমাধিযোগের বিষয় হন । এ স্থলে আস্বাদক আস্বাদ্যের স্পষ্ট বিশেষ উপলদ্ধ হয় না । অতএব ভগবানই একমাত্র অনুশীলনীয় বলিয়া উক্ত শ্লোকের চরমাংশে দৃষ্ট হয়। আস্বাদ্য পদার্থের গুণগণ মধ্যে এক একটী গুণ অবলম্বিত হইয়া ব্ৰহ্মা, পরমাত্মা প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন অভিধা কল্পিত হইয়াছে, কিন্তু