পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । \sy • স্থানে বিবাদ করিয়াছিলেন । কথিত আছে, একুশবার পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করিয়া পরশুরাম সমস্ত পৃথিবীর রাজ্য কশ্যপের হাতে সমর্পণ করেন । ইহার তাৎপর্য্য এই যে ব্ৰহ্মাবৰ্ত্তস্থ দৈব রাজ্য কশ্যপবংশীয় ব্রাহ্মণদিগের হাতে ছিল । ঐ রাজ্য বিগতপ্রায় হইলে অন্যান্য সম্রাট রাজা হয়। পরশুরাম সমস্ত ভারতের সাম্রাজ্য পুনরায়ু কশ্বাপবংশে অপণ করিলেন । কিন্তু তৎকালে ব্রাহ্মণমণ্ডলীতে এরূপ বিচার হইল যে, ব্রাহ্মণের আর রাজ্যভার লইবার যোগ্য নহেন । অতএব ক্ষত্রিয়বংশে সাম্রাজ্য থাকাই প্রয়োজন বোধ করিয়| ব্রাহ্মণ ও প্রধান প্রধান ক্ষত্রিয় রাজাদিগের স্থানে স্থানে সভা হষ্টয়া মানবশাস্ত্র প্রণীত হয় । সম্প্রতি ঐ মানবশাস্ত্র প্রচলিত আছে কি না, তদ্বিময় পরে আলোচিত হইবে । ব্রহ্মাবত্ত বা দৈবরাজ্যের আর স্থানীয় সম্মান রহিল না । কেবল মজ্ঞাদিতে তত্তৎ সম্মান রক্ষিত হইল । তাহাও নাম ও মন্ত্রাত্মক । বাস্তবিক ব্রাহ্মণসমাজের সম্মান প্রভূত হইয়া উঠিল । এইরূপ ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়গণের সন্ধি হইলেও পরশুরাম স্বয়ং রাজ্যলোলুপ হইয়া পুনরায় ক্ষত্রিয়দিগের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন । তিনি রামচন্দ্রের সহিত যুদ্ধ করিতে অগ্রসর হইয়া রামচন্দ্রকর্তৃক পরাজিত ও নির্বাসিত হন, এরূপ রামায়ণে কথিত আছে। কুমারিকা অন্তরীপের সন্নিকট মহেন্দ্রপৰ্ব্বতে র্তাহাকে দূরীভূত করা হয় । এই কার্য্যে ব্রাহ্মণগণ রামচন্দ্রের সাহায্য করায় পরশুরাম আৰ্য্য বাহ্মণদিগের প্রতি বিদ্বেষ করিয়া দক্ষিণদেশে কয়েক প্রকার 鸟