পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐকৃষ্ণসংহিতা । 58י বাহ্মণ স্বষ্টি করিয়াছিলেন। দক্ষিণাত্য ব্রাহ্মণের মধ্যে অনেকেই পরশুরামকর্তৃক বাহ্মণত্ব প্রাপ্ত হওয়া স্বীকার করিয়া থাকেন। পরশুরামের সহিত যে সকল ব্রাহ্মণের মালাবারদেশে বাস করেন তাহ ই অর্ম্যশাস্ত্র সকল দাক্ষিণাত্য দেশে প্রচার করত কেরলদেশীয় জ্যোতিমঃ স্ত্র ও নানা প্রকার বিদ্যার উন্নতি করেন । তাছাদের বংশজাত বাহ্মণের। এপর্য্যন্ত সারস্ব ভ ভিমান করিয়া থাকেন। এই বৃহদটনার অব্যবহিত পরেই রামরাবণের যুদ্ধ উপস্থিত হয় । লঙ্কাধিপতি রাবণ তৎকালে একজন প্রতাপ {{#া রাক্ত ছিলেন । পুলত্যবংশীয় জনৈক ঋনি ব্রহ্মাবৰ্ত্ত পরিত্যাগপূর্ববক স্কোদ্বীপে কিয়ৎকাল বাস করেন ; রক্ষবংশের কোন কস্যার পাণি গ্রহণ করিয়া রাবণবংশের উৎপত্তি করেন । ইহাতে রাবণকে অদ্ধ রক্ষ ও তদ্ধ তার্স্য কহ। যাইতে পারে । রাবণরাজা বলপরাক্রমে ক্রমশঃ ভারতের দাক্ষিণাত্য রাজ্যের মধ্যে অনেকাংশ জয় করিয়া লন। অবশেষে গোদাবরী-তার পর্য্যন্ত তাহার অধিকার হয়। তথায় খরদূষণ নামক তু হটী সেনাপতিকে সীমা রক্ষার জন্য অবস্থিত করেন । রামলক্ষণ মেকালে গোদ|বরী তীরে কুটীর নিৰ্ম্মাণ করেন তখন রাবণের এরূপ আশঙ্কা হইল যে স্য্যবংশীয়েরা তাহার রাজ্য আক্রমণ করিবার জন্য তাহার সীমার নিকট দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন । এই বিবেচনা করিয় রাবণরাজা বকসর-নিবাসিনী তারকাপুত্ৰ মারিচকে আশ্রয় করিয়া সীতা হরণ করেন।