পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ৪৭ ভারতের রাজ্যশাসন সম্বন্ধে কালবিভাগ করিয়া তিবৃত্তের আভাস প্রদান করিলাম। আপাততঃ আৰ্য্যদিগের রচিত গ্রন্থসমূহের সময় নিরূপণ করিতে প্রবৃত্ত হইলাম । প্রাজাপত্যাধিকারে কোন গ্রন্থ রচনা হয় নাই। তখন কেবল কতিপয় স্থশ্রাব্য শব্দের স্বষ্টি হইয়াছিল । সর্ববাদে। প্রণবের উৎপত্তি। লিখিত অক্ষরের তৎকালে স্বষ্টি হয় নাই ৷ একাক্ষরে অনুস্বার যোগ মাত্রই তখনকার শব্দ ছিল । মানবাধিকার আরম্ভ হইলে অক্ষর দ্বয় সংযোগপূর্বক তৎসৎ প্রভৃতি শব্দের প্রাচুর্ভাব হইল । দৈবাধিকারে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শব্দ যোজন পূর্বক প্রাচীন মন্ত্র সকল রচিত হয়। ঐ সময়ে যজ্ঞস্থষ্টি হয় । ক্রমশঃ গায়ত্রীপ্রভৃতি প্রাচীন ছন্দের আবির্ভাব হইতে লাগিল। স্বয়ম্ভব মনুর অষ্টমপুরুষে চক্ষুষমনু ; তাহার সময়ে মৎস্যবিতার হইয়। ভগবান বেদ উদ্ধার করিয়াছিলেন এরূপ আখ্যায়িকা আছে । বোধ হয়, ঐ সময়েই বেদের ছন্দ সকল ও অনেক শ্লোক রচনা হয়; কিন্তু সে সমুদয়ই শ্রুতিরূপে কৰ্ণ হইতে কর্ণে ভ্রমণ করিত—লিখিত হয় নাই । এইরূপ বেদ সকল অনেক দিন পর্য্যন্ত অলিখিত থাকায় ও ক্রমশঃ শ্লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় অনায়ত্ত হইয়া উঠিল । তৎকালে কাত্যায়ন, আশ্বলায়ন প্রভৃতি ঋষিগণ বিষয় বিচার পূর্বক শ্রুতি সকলের সূত্র রচনা করিয়া কণ্ঠস্থ করিতে সহজ করিয়া দিলেন । তাহাদের পরেও অনেক মন্ত্রাদি রচনা হইল । যখন বেদ অতিবিপুল হইয়া উঠিল, তখন