পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । q > মহৎ । নারদ, ব্যাস, যিশু ও শঙ্কর ইহঁারা নিজ নিজ কাৰ্য্যগুণে জগন্মান্য হইয়াছেন; ইহাতে কিছুমাত্র তর্ক নাই । তবে আমি যে এস্থলে শঙ্করের উৎপত্তি উল্লেখ করিলাম সে কেবল একটী বিচার দর্শাইবার জন্য বুঝিতে হইবে । বিচারটা এই যে, সপ্তম শতাবিদ হইতে দাক্ষিণাত্য প্রদেশে যেরূপ বুদ্ধির প্রাবল্য ও তীক্ষত৷ দেখা যায় সেরূপ অন্যত্র নহে। শঙ্কর, শটকোপ, যামুনাচার্য্য, রামানুজ, বিষ্ণুস্বামী, নিম্বাদিত্য ও মাধবাচার্য্য এই সকল ও আর আর অনেক মহা মহা পণ্ডিতগণ ঐ সময় হইতে ভারতের দক্ষিণবিভাগের নক্ষত্র স্বরূপ উদিত হন । শঙ্করাচাৰ্য্য ব্রাহ্মণদলবল লইয়া অধিক কৃতাৰ্থ না হইতে পারায় ; গিরি, পুরি, ভারতী প্রভৃতি দশবিধ সন্ন্যাসির পথ স্বজন করিয়া ঐ সকল সন্ন্যাসিদিগের বাহুবলে ও বিচারবলে কৰ্ম্মপ্রিয় ব্রাহ্মণদিগকে আত্মসাৎ করিয়া বৌদ্ধবিনাশে প্রবৃত্ত হইলেন । যেখানে বৌদ্ধদিগকে স্বদলভুক্ত করিতে না পারিলেন, সেস্থলে নাগা সন্ন্যাসিদল নিযুক্তপূর্বক খড়গাদি অস্ত্রের সাহায্য গ্রহণ করিলেন। অবশেষে বেদান্তভাষ্য রচনাপূর্বক ব্রাহ্মণদিগের কৰ্ম্মকাণ্ড ও বৌদ্ধদিগের জ্ঞানকাণ্ড একত্র সম্বলিত করিয়া বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণগণকে একমত করিলেন। তৎপরে বৌদ্ধদিগের যে সকল দেবায়তন ও দেবলিঙ্গ ছিল, সে সকল নামান্তর করিয়া বৈদিক ধৰ্ম্মের অনুগত করিয়া দিলেন । বৌদ্ধের কতকটা প্রহারের ভয়ে ও কতকটা স্বধৰ্ম্মের কিঞ্চিদবস্থান দৃষ্টি