পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণসংক্তি স্তা । ما يز মাধুর্য্যভাবসম্পলে বিশ্রম্ভো বলবান সদ । মহাভাবাবধিঃ প্রীতেৰ্ভক্তগনাং হৃদয়ে ধ্ৰুবং ॥ ১০ ॥ জীবস্য নিত্যসিদ্ধস্য সৰ্ব্বমেতদনাময়ং । বিকারাশ্চিদগতাঃ শশ্বৎ কদাপি নো জড়াম্বিতা: ॥১১ বৈকুণ্ঠে শুদ্ধচিদ্ধাদি বিলাস নিৰ্ব্বিকারকাঃ । আনন্দাব্ধিতরঙ্গাস্তে সদা দোষবিবর্জিতা: ॥ ১২ ॥ যমৈশ্বৰ্য্যপরা জীবা নারায়ণং বদন্তি হি । মাধুর্য্যরসসম্পন্নাঃ কৃষ্ণমেব ভজন্তি তং ॥ ১৩ ॥ রসভেদবশাদেকো দ্বিধা ভীতি স্বরূপতঃ । অদ্বয়ং স পরঃ কৃষ্ণোবিলাসানন্দচন্দ্রমাঃ ॥ ১৪ ॥ মাধুর্য্যভাবসম্পন্ন পুরুষদিগেব বিশ্বন্ত অর্থাং বিশ্বাস অত্যন্ত বলবান । অতএব তাহাদের হৃদয়ে প্রীতিতত্ত্ব মহাভাবাবধি উন্নত হয়। ১০ । কেহ কেহ বলেন যে আত্মা ও পরমাত্মার ঐক্যভাব ব্যতীত অপ্রাক্কতাবস্থায় প্রণয়ভাব, মহাভাব প্রভৃতি যে সকল অবস্থার বিচার করা যায়, সে সকল মায়িক চিন্তাকে অপ্রাকৃত চিন্তা বলিয়। স্থির করা মাত্র। এই অশুদ্ধ মতসম্বন্ধে কথিত হইল যে, নিত্যসিদ্ধ জীবের প্রণয়বিকার সকল জড়গত অবিদ্য বিকার নয়, কিন্তু চিদগত বিলাস বলিয়া জানিতে হইবে । ১১ । শুদ্ধ চিদ্ধামরূপ বৈকুণ্ঠে যে সকল বিলাস আছে সে সমূ: দায়ই সৰ্ব্বদোষরহিত আনন্দ সমুদেব তবঙ্গবিশেষ । তাহাদিগেব প্রতি বিকার শব্দ প্রযুক্ত হয় না । ১২ । কৃষ্ণনারায়ণে কিছুমাত্র ভিন্নত। নাই । ঐশ্বৰ্য্যপর চক্ষে তাহাকে নারায়ণ বোধ হয়, মাধুর্য্যপর চক্ষে উাহাকে কৃষ্ণস্বরূপ দেখা যায় । বাস্তবিক এ বিষয়ে আলোচ্যগল্প ভেদ নাই কেবল আলোচক ও আলোচনাগত ভেদ আছে । ১৩ । স্বরূপভেদ লক্ষ্য হয । ১৪ স্বরূপেব বাস্তবিক ভেদ নাই, কেননা