পাতা:শ্রীক্ষেত্র-তত্ত্ব-সুধা.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীক্ষেত্ৰ-তত্ত্ব সুধা করতঃ জিজ্ঞাসা করিলেন, হে ঋষিবর ! 'কি মানসে দাসের মন্দিরে সহসা আগমন এবং অধমের প্রতি কি আজ্ঞা হয় ? প্রকাশ পূৰ্ব্বক আমার চিন্তা দূর করুন। রাজার এইরূপ সদ্ব্যবহারে ঋষি সস্তুষ্টচিত্তে বলিলেন, হে রাজনী! আমি যাহা বলিতেছি, তাহা মনোযোগপূর্বক শ্রবণ করুন। একদা আমি নানাস্থানে ভ্ৰমণ করিতে করিতে এক নিবিড় অরণ্য মধ্যে প্রবেশ করিয়া, উড়িষ্যা দেশে সমুদ্রতীরে পরম পবিত্ৰ পুরুষোত্তম ক্ষেত্রে দেখিতে পাইলাম, এইস্থান অতি প্ৰশংসনীয় ; ভগবান নীলমাধব্দ দেবী প্ৰস্তাক্ষরূপে বিরং জুমান করিতেছে। অদ্যা এক বৎসর কােল এই পবিত্ৰ তীৰ্থস্থানে বাস করিয়া দেখিলাম প্ৰতিদিন রাত্রিকালে দেীপগণ স্বৰ্গ দুইতে অবতীর্ণ হইয়া এই পরম পবিত্র গীর্থে উপস্থিত হন, এবং ভাগ্যবান জগন্নাথদেবের পূজা ও ዖም দর্শনাদি করিয়া স্ব স্ব স্থানে গমন করেন । ষ্ট্রে রাজনী! তুমি পরম ধাৰ্ম্মিক, বিষ্ণুপরাস্ত্রণ ও সৎপাত্ৰ জুনিয়া এই গুপ্ত পুণ্যক্ষেত্রের বিবরণ প্ৰকাশ করিতেছি। দেবগণ ধ**ার পূজা ও দর্শনাভিলাষের জন্য স্বর্গ হইতে মৰ্ত্তে আসিয়া আপন আপন অভীষ্টসিদ্ধ করিয়া নাইতেছেন এই বিষ্ণু ভগবানকে দর্শন করা তোমার অতীব আবশ্যক এবং ঐ স্থানে রোহিণী-” কুণ্ড আছে, এই কুণ্ডে স্নান ও মার্জনাদি করিলে, জীবগণ ঘোর পাতক হইতে উদ্ধার হইয়া মোক্ষাপ্রাপ্ত হয়। রাজা তপস্বীর এই সমস্ত বাক্য শুনিয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট ঠাইলেন এবং বারংবার উহাকে প্ৰণাম ও পূজা করতঃ আনন্দসহকারে মনোঙ্গর পুষ্পমালা ঋধির গলদেশে প্ৰদান কবিলেন, এবং জটাজুটধারী কৃতকৰ্ম্ম তপস্বী