পাতা:শ্রীক্ষেত্র-তত্ত্ব-সুধা.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R শ্ৰীক্ষেত্ৰ-তত্ত্ব-সুখ। ইহা শুনিয়া বিশ্বাবসু বিদ্যাপতিকে কহিলেন, হে বিপ্রবর। এক্ষণে আপনি আমার আশ্রমে অবস্থান করিয়া রাত্রিযাপন করুন । বিদ্যাপতি কহিলেন, আমি জগৎপত্তি জগদীশ্বর, দীনবন্ধু, ভগবান নীলমাধবের দর্শন না করিয়া বিশ্রাম বা আহারাদি করিব না। কৃতসংকণ্ঠা করিয়াছি। এক্ষণে আপনি দয়া করিয়া শীঘ্ৰ ভগবান দর্শনের উপায় বলিয়া দিন। পিস্থাপতি ঈশ্বর দর্শনে উৎসুক ও আগ্ৰহ দেখিয়া বিশ্বাবসু উহাকে সমভিবাহারে লইয়া একটা অপ্ৰশস্ত পথে প্ৰবেশ করিালেন এবং রোহিণীকুণ্ডে স্নান করাইয়া বাঞ্ছাবটের আলিঙ্গন করাষ্টলেন এবং নীলবৰ্ণ স্বর্ণকান্তি সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর। সৰ্ব্বালঙ্কারভূষিত জগদাত্মা, বিষ্ণু, নীলমাধব দেদের দর্শন করিয়া পরমানন্দে সচিদানন্দ ভগবানকে কহিতে লাগিলেন। হে দেব দেবেশ ! আপনি জগ”। স্কু। জগদাধার দেশগণের অচিন্তনীয় এই পবিত্ৰ ক্ষেত্রে পূর্ণ বন্ধ জগন্নাথরূপে বিরাজমান করিগেছেন ; আপনাকে কোটা বোর্টা প্ৰণাম করি। আপনার মহিমা ও গুণকীৰ্ত্তন জগৎমাতা জগদম্বা, গণেশ ও মহেশ প্রভৃতি দেবগণ পৰ্যন্ত করিতে অসমর্থ ; এক্ষণে আপনার দর্শন ও স্পর্শনে জীবন সার্থক ও পবিত্ৰ হইল। প্ৰভো ! অধমের স্থার্থনা পূর্ণ করূন। বিদ্যাপতি ও বিশ্বাবসু এইরূপে ভগবানকে স্তবকরতঃ আনন্দে মুগ্ধ হইয়া বসিয়া পড়িলেন তৎপরে বিশ্বাবসু বিদ্যাপতিকে কঠিালেন ষ্ঠে দ্বিজবর । রাত্রি অধিক হইতেছে অরণ্যের পথ রাত্রিকালে ভয়ানক ভগ্ন, সুতরাং - এস্থান হইতে প্ৰস্থান করুন। এ কথা শুনিয়া বিদ্যাপতি কছিলেন, হে ব্ৰাহ্মণ! আমি অন্ত রাত্ৰি এষ্ট স্থানে বিশ্ৰাম করিনি। আপনি গৃঙ্গে প্ৰত্যাগমন করুন,