পাতা:শ্রীক্ষেত্র-তত্ত্ব-সুধা.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&\! শ্ৰীক্ষেত্ৰ-তত্ত্ব সুখ । ধারে অনবরত নানাবিধ বাস্থ্য-বাজনাদি বাজাইতে থাকিবে, যেন প্রতিমা গঠনের শব্দ কেহ শুনিতে না পায় ; এই প্রতিমা গঠনের শব্দ শুনিলে বা দৰ্শন করিলে রাজার অত্যন্ত অমঙ্গল ও সম্পূর্ণ নরকগামী হইতে হইবে ; এবং আপনা হইতে দুর্ভিক্ষ, মহামারী প্রভৃতি উৎপাত আরম্ভ হইবে। এই নিমিত্ত সাবধান হইয়া নিয়মানুসারে কাৰ্য্য কর। এইরূপ : দৈববাণী শ্ৰবণ করিয়া রাজা ইন্দ্ৰদ্যুম্ন বড় বড় দ্বারপালদিগকে *, ঘণ্টা, ভেরী, দুন্দুভি ইত্যাদি বাস্থ্য-বাজনাদি দিলেন। বাজনার ভীষণ নাদে (শব্দে ) সমস্ত নগর কোলাহল পূর্ণ হইল। এমত সময়ে ভক্তবৎসল। ভগবান এক বৃহদাকার লম্ববান পুরুষরূপ ধারণকরতঃ অস্ত্রশস্ত্ৰ হস্তে করিয়া রাজা ইন্দ্ৰদ্যুমের সম্মুখে আসিলেন। রাজা দৈববাণীর কথানুযায়ী ঈদৃশ দীর্ঘাকার পুরুষকে মন্দির মধ্যে প্রবেশ করাইয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিলেন। ইতি শ্ৰীক্ষেত্ৰ-তৰ সুধা মাহাত্ম্য তৃতীয় অধ্যায় সমাপ্ত। চতুর্থ অধ্যায়। এই সমস্ত কথা শুনিয়া নৈমিষারণ্যবাসী মুনিগণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া বলিলেন, হে সুজী মহারাজ ! পুনর্বার রাজা ইন্দ্ৰদ্যুম্ন কি করিলেন তাহার সমস্ত বিবরণ আমাদিগকে বর্ণনা করুন। ইহা শুনিয়া সুত গোস্বামী বলিলেন হে ঋষিগণ! রাজা ইন্দ্ৰদ্যুম্ন দৈববাণীর কথানুযায়ী সমস্ত কাৰ্য্য করিলেন এবং সুন্দর সুন্দর সুগন্ধযুক্ত নানাবিধ পুষ্প ও জাহ্নবী জলসিক্ত প্রস্ফুটিত পদ্ম স্কুল, ঐ স্থানে বর্ষণ করিতে লাগিলেন এবং মন্দিরের বহির্ভাগে অনবরত গীত বাস্থ্য ও ঈশ্বরের গুণানুকীৰ্ত্তন, বেদ-পঠাদি প্রভৃতি হইতে লাগিল। এইরূপে পঞ্চাশ দিবস। অতীত হইলে সুদৰ্শন হস্তে ভগবান বলভদ্র আদি শক্তিসম্পন্ন সুভদ্রার সহিত, দারুময়রূপে রাজা ঈক্ষাদায়ের যন্ধবেদীতে{প্রকাশিত হইলেন। ইন্দ্ৰাদি দেবগণ এই