পাতা:শ্রীক্ষেত্র-তত্ত্ব-সুধা.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N8 শ্ৰীক্ষেত্র তত্ত্ব-সুধা। পরিবর্তন এবং কাৰ্ত্তিক শুক্ল একাদশী তিথিৰুে আমার উত্থান ও মার্গশীর্ষ শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠীতে নূতন বস্ত্রাভরণ পরিধানপূর্বক শৃঙ্গার, পৌষমাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে আমার পুষ্পাভিষেক ও উত্তরায়ণ মকর সংক্রাস্তিতে মহোৎসব করিয়া ফাস্তুন শুক্ল পৌর্ণমাসিতে আমার দোলযাত্ৰা করিবে ; এবং চৈত্রমাসে শুক্ল চতুর্দশীতে দমকা পূর্ণ ও বৈশাখ শুরু তৃতীয় তিথিতে চন্দনযাত্রা অর্থাৎ আমার সর্ব শরীরে সুগন্ধযুক্ত চন্দন লেপন করতঃ জলসিক্ত করিবে। এইরূপে বারমাসে বার উৎসব করিবে। এই নিমিত্ত আমার প্রতিরূপ একাদশ মূৰ্ত্তি প্ৰদান করিতেছি। তুমি যত্নপূর্বক স্থাপন কর। পরিশেষে আমি স্বয়ং রথযাত্ৰা তিথিতে বেদী হইতে উঠিয়া সপ্তদিবস ভ্ৰমণ করতঃ গুড়িচ যাত্ৰা করিব। ইহা কহিয়া ভগবান নিস্তব্ধ হইলেন। রাজা ইন্দ্রীড়ায় ভগবানের এই সমস্ত কথা শুনিয়া একাদশ মন্দির করতঃ ঐ একাদশ মূৰ্ত্তি স্থাপন করিলেন এবং ঈশ্বরের একাদশ যাত্রার নিমিত্তে পৃথক পৃথক স্থান করিয়া দিলেন। প্রতিবৎসর বিধিবৎ ভগবানের গমনাগমন झशेरठ লাগিল, <R KPযাত্রার নিমিত্ত নানাবিধ মণিমাণিক্যজড়িত কারুকাৰ্য শোভিত। পরম সুন্দর রথ প্ৰস্তুত করিয়া মহাবিষ্ণু ভগবান, সুভদ্রা ও বলভদ্রকে, স্থাপনকরতঃ রাজা ; নগরবাসী প্ৰজাগণ সৈন্যগণ ও পরিজন সমভিব্যাহারে পরমানন্দে মহাসমারোহে বাস্থ্য-গীতৰ দ্বারা। ভগবানের রথযাত্রা মহোৎসব করিলেন। তঁহার দর্শনাভিলাষে মুনি, ঋষি, দেব, দানব, গন্ধৰ্ব্ব ও হরিভক্ত মানবগণ পৰ্য্যস্ত আসিতে লাগিলেন। সুত গোস্বামী বলিলেন, হে মুনিগণ! রাজ্জা ইন্দ্রদুয়ের এই অলৌকিক কাৰ্য দেখিয়া, সন্তুষ্টচিত্তে প্ৰজাপতি ব্ৰহ্মা ও ইন্দ্রাদি দেবগণ রাজাকে ধন্যবাদ প্ৰদানপূর্বক আশীৰ্ব্বাদ