পাতা:শ্রীক্ষেত্র-তত্ত্ব-সুধা.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ऍड-ऊसृ-ट्रक्षा । করুন। যদ্যপি ভগবান সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বব্যাপী ও সর্ব পাপনাশক, তথাপি জগন্নাথক্ষেত্রে সর্বব্যাপী দীন হিতকারী দারুময় মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া অবতীর্ণ হইয়াছেন ; সুতরাং এই জগন্নাথক্ষেত্ৰ হিন্দুদিগের প্রধান পবিত্ৰ তীৰ্থস্থান। এখানে যেমন অত্যন্ত গুপ্ত মহাপাপ সকল ধ্বংশ হয় এবং তদ্রুপ পুণ্যেরও সঞ্চয় হইয়া থাকে। এই পরম পবিত্র জগদীশ ক্ষেত্র উৎকল বা উড়িষ্যা দেশে বিরাজিত আছে এই পুণ্যতীর্থ সমূদ্রতীরে বালুকারাশির উপরে দশ যোজন পরিল্যাপ্ত রহিয়াছে। ইহার মধ্যস্থলে নীল পৰ্ব্বত, মহানদীর দক্ষিণ পার্শ্ব হইতে আরম্ভ হইয়া, উত্তর পার্শ্ব পৰ্য্যন্ত ব্যাপ্ত রহিয়াছে। ইহাকে পতিতপাবন জগন্নাথক্ষেত্র বলে। এই তীর্থের প্রত্যেক স্থান দৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষপ্রদায়িনী, হে মুনিগণ! এই পুণ্যক্ষেত্রে সর্বশক্তিমান ভগবান সৰ্ব্বদা শাস্থিরূপে বিবাজিত রহিয়াছেন এই ভক্তি-মুক্তি-প্ৰদায়িনী তীর্থ সাধারণ লোকে যাইতেছেন এবং এই তীর্থ পবিত্ৰ নিৰ্ম্মল বৃদ্ধিসম্পন্ন বিষ্ণু প্রেমাশক্তি বৈষ্ণবগণ ও অনন্ত পাপী দুরাচারী মানবগণ ও মুক্তিলাভ করিয়া থাকেন এবং বৈতরণী নদীতে স্নান ও শ্ৰাদ্ধাদি ক্রিয়া-কলাপপূৰ্ব্বক বৈতরণীর তটবাসিনী বিরজা দেবীর দর্শন ও পূজা করিয়া লোকমাত্রই বাঞ্ছাতীত ফল পাইতেছেন ; এই পুণ্যতীর্থের নাম নাভি-গয়াক্ষেত্র। হহাঁ যাজপুরে বিরাজিত রহিয়াছে এবং আম্রকাননে পরম সুন্দর এক পরম পবিত্ৰ বিন্দুহৃদ নামক সরোবরে মানকরত: ঈশ্বর কৈলাসপতি শঙ্কর তুল্য বিশাল হরিহর দেবের মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া জীবের অনন্ত পাতিক হইতে মুক্তি পাইতেছে এবং অর্কক্ষেত্রে পৌঁছিয়া চন্দ্ৰভাগা নদীর নিৰ্ম্মল সলিলে মানকরত: ঈশ্বর ভাস্কর সূৰ্য্যনারায়ণ দেবের